পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া কোনও প্রাণীর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত পানি খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত পানি খেলে শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স বা তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, কিডনির ওপর চাপ পড়ে এবং কার্যক্ষমতা কমে যায়।
# হজমের সমস্যা দূর করে: কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি সমস্যার কারণ হজমের ক্ষমতা দুর্বল হওয়া, যার জন্য দায়ী বিভিন্ন হজমে সহায়ক এনজাইম। হজম ক্ষমতা দূর্বল হওয়া মানে হজমে সহায়ক এনজাইমগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হচ্ছে না অথবা এক অপরের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে যাচ্ছে। হজমের সমস্যা সারাতে পানির কোনো ভূমিকা নেই, তাই পানি পান আপনার কোনো উপকারে আসবে না। বরং অতিরিক্ত পানি পান হজমের সমস্যা আরও জটিল করে তুলতে পারে।
# হৃদযন্ত্রে সমস্যা: বেশি পানি খেলে শরীরের আদ্রতা বেড়ে যায় যা হৃদযন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে। রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ফলে হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালীর ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।
# মূত্রত্যাগে সমস্যা: অতিরিক্ত পানি খেলে স্বাভাবিকভাবেই মূত্রত্যাগের পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান বেরিয়ে যায়। দেহে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
# রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত: শরীরে তরলের পরিমাণ বেশি হলে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার ওপর চাপ পড়ে। দেখা দেয় মাথাব্যথা, বমিবমি ভাব, মাংসপেশীতে ব্যথা।
# শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করে: শরীরের স্বাভাবিক বিপাক প্রক্রিয়া থেকে তৈরি হয় নাইট্রোজেনভিত্তিক বর্জ্য পদার্থ ইউরিয়া। এই বর্জ্যকে মূত্রতে রূপান্তরিত করে শরীর থেকে বের করার দায়িত্ব বৃক্কের। এটি প্রাকৃতিক এবং সয়ংক্রিয় একটি প্রক্রিয়া। পানি পান করার সঙ্গে এই প্রক্রিয়ার কোনো উপকারী সম্পর্ক নেই বরং বেশি পানি পান সমস্যা তৈরি করতে পারে। বেশি পানি পান করলে মূত্র তৈরির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে ঝামেলা হতে পারে এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আয়ন মূত্রের সঙ্গে বের হয়ে যেতে পারে। এতে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যার পরিণতি হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ।