• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
তাহিরপুরে বাদামের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের মুখে

তাহিরপুরে বাদামের বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। করোনা সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে লকডাউন চলায় পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বাদাম বিক্রি করতে পারছেন না কৃষক। ফলে বাদাম সংরক্ষণের

জন্য আলাদাভাবে ব্যবস্থা করতে হচ্ছে তাদের। এতে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

চলতি বছর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর, বড়দল উত্তর, বালিজুড়ি, বাদাঘাট, দক্ষিণ বড়দল, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নসহ ছয়টি ইউনিয়নে তিন হাজার একর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। ফলনও গত বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। আগে জমি থেকে বাদাম উত্তোলন করার পরপরই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যসায়ীরা এসে জমি থেকেই কিনে নিয়ে যেতেন। সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে বাদাম কেনার জন্য কোনো ক্রেতাই আসছেন না এলাকায়। তাই কৃষকদের বাধ্য হয়ে জমির বাদাম গুদামে রেখে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হচ্ছে।

উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের কৃষক আক্তার হোসেন জানান, তিনি ১০ কিয়ার (৩০ শতকে এক কিয়ার) জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। প্রতি কিয়ারে প্রায় সাত-আট মণ বাদাম হয়েছে। বিগত বছরে তিনি প্রতি মণ বাদাম তিন হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এবার করোনার কারণে বাইরে থেকে কোনো পাইকার না আসায় তারা অনেকটা বাধ্য হয়েই বাড়িতে আলাদা গোলা তৈরি করে বাদাম সংরক্ষণ করছেন। এতে করে তাদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

উপজেলার টাকাটুকিয়া গ্রামের শিক্ষক দেবব্রত সরকার বলেন, তার গ্রামের অনেক কৃষক বাদাম চাষ করেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে কৃষকরা বাদাম বিক্রি করতে পারছেন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান-উদ-দৌলা বলেন, উপজেলায় এ বছর বাদামের ফলন ভালো হয়েছে। করোনার প্রভাবে কৃষকরা বাদাম বিক্রি করতে পারছেন না।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।