• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৭শে মার্চ, ২০২৩ ইং
Mujib Borsho
Mujib Borsho
ফরিদপুরে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততার সময় কাটছে কামাররা

সনতচক্রবর্ত্তীঃআগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্থানীয় কামার শিল্পীরা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানাবিধ সরঞ্জাম।

কামারের দোকানে গেলেই শোনা যায় হাতুড়ি পেটানোর শব্দ। কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহার খণ্ড। কেউ পুরনো দা-ছুরিতে শাণ দিচ্ছেন। কেউবা হাপর টানছেন। কেউ আবার কয়লার আগুনে বাতাস দিচ্ছেন।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেখা যায় দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে। দামও সন্তোষজনক।

তবে কামারা শিল্পীরা( কারিগররা) অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারাদিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শরীরে তৈরি হয়। তবে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে জেলায় কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়ের কাজ। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছেন অনেকে।

বোয়ালমারী উপজেলার কামার শিল্পীরা বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে কোরবানির সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম।

বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের কামারশিল্পী অরুণ বিশ্বাস জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। এছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্য তৈরির বেশকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাদের প্রত্যাশা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।

বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়ন এর লঙ্কার চর গ্রামসহ বেশ কয়েক টি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পশু কোরবানি ও মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। অনেকেই পশু কোরবানির জন্য নতুন করে দা, ছুরি, চাপাতি তৈরি করছেন। কেউ কেউ পুরোনো সরঞ্জামে শান বা লবণ-পানি দেওয়ার কাজ করছেন।

বোয়ালমারী উপজেলার ঠাকুরপুর এলাকায় কথা হয় মন্টু মিয়ার সাথে তিনি জানান, আমি প্রতি বছরই কোরবানির ঈদে গরু কোরবানি দেই। এবারও কোরবানি দেব। কিন্তু এখনো গরু দেখতে ক্রয় করতে পারিনি। ঈদের আগের দিন গরু কিনবো। খোঁজ খবর রাখছি কোথায় দেশি ভালো গরু পাওয়া যাবে। কয়েক দিন পর থেকে কামারের দোকানে ভিড় বাড়বে। তাই আগে থেকেই ছুরি ও চাপাতিতে শান দিয়ে রাখছি।

বোয়ালমারী বাজারে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, কোরবানির গরুর মাংস কাটার যন্ত্রপাতির দামটা এবার একটু বেশি। আকার ভেদে একশ থেকে পাঁচশ টাকার মধ্যে বিভিন্ন হাতিয়ার বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে চাপাতি তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা কেজি দরে, ছুরি আড়াইশ থেকে চারশ টাকা এবং বটি তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বড় ছুরি ৪০ টাকা, চাপাতি ৫০ টাকা, দা ৫০ টাকা ও ছোট ছুরি ২০ টাকায় শাণ দেওয়া হচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মার্চ ২০২৩
শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
« ফেব্রুয়ারি  
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।