ফরিদপুর প্রতিনিধি।।
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে হঠাৎ পাগলা কুকুরের উপদ্রব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিনে পৌর সদরে কমপক্ষে ২৩ জনকে কামড়িয়ে মারাত্মক জখম করেছে। যখমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। পাগলা কুকুরের কামড়ের ঘটনায় পৌরবাসী ও পথচারীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করলেও তাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়ার খবর মেলেনি। এমন অভিযোগ আক্রান্ত ও পৌরবাসীদের।
বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মর্তুজা আলী তমাল বলেন, শুক্রবার থেকে বোয়ালমারী পৌর শহরের ডাকবাংলো থেকে ওয়াবদার মোড় পর্যন্ত হাফ কিলোমিটার রাস্তা এলাকায় পাগলা কুকুরের উপদ্রব ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের মোড়, আঁধারকোঠা,থানা ও স্টেডিয়াম এলাকায় পথচারীরা গেলেই অতর্কিতভাবে দৌড় দিয়ে এসেই কামড় দিচ্ছে। ফলে মানুষের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস ছামাদ খান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা সঠিক। ব্যাপক হারে পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। আক্রান্তর সংখ্যাও বেশ। প্রতিদিনই কেউ না কেউ কামড়ে যখম হচ্ছে। মঙ্গলবার সারাদিন ও গভীর রাত পর্যন্ত এলাকাবাসীকে সতর্কর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পাগলা কুকুর তাড়িয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ২৩ জন মানুষ পাগলা কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এর সংখ্যা আরো অধিক হতে পারে। কারন কুকুরের বিষের কোন ভ্যাকসিন হাসপাতালে নেই। যার কারনে আক্রান্তরা বাজার থেকে ভ্যাকসিন ক্রয় করে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। আবার অনেকেই বাহির থেকেও নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আক্রান্তরা অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। পাগলা কুকুরের কামড়ের বিষয়টি আমি ব্যাক্তিগতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর মেয়র ও পশু কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, পাগলা কুকুরের কামড়ের ব্যাপারে পৌর মেয়র ব্যবস্থা নেবেন। আমি পৌর মেয়রকে আইন-কানুন মেনে ব্যাবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কথা বলবো।