ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান স্থানীয় যুবলীগের আহবায়ক মোঃ মেহেদী হাসান মিন্টুর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও আয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সিএন্ডবি ঘাট আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকায় স্থানীয় আ.লীগ ও এলাকাবাসী বিশাল এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে ত্যাগ আ.লীগ পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ডিক্রিরচর আ.লীগের সাবেক সভাপতি প্রবীন আ.লীগ নেতা ফজলুর রহমান ফজল, ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার খান, ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, যুবলীগ নেতা আলমগীর ফকির ও ফরিদপুর জেলা আ.লীগের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মরহুম সামসুদ্দিন মোল্যার পুত্র ছাত্রলীগ নেতা শিপন মোল্যাসহ অনেকে।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন এই অঞ্চলে মিন্টু চেয়ারম্যানের পরিবার ৫০ বছরেরও বেশী সময় ধরে আ.লীগের লড়াই সংগ্রামে রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হামলা, মামলা, কারাভোগের শিকার হয়েছে। আর আ.লীগ সরকার আমলেও হাইব্রিড দ্বারা লাঞ্ছিত, শোষিত। নেত্রীর দেওয়া মনোনয়নপত্র ছিনতাই করে নেওয়া হয় মিন্টু ফকিরের কাছ থেকে। তারপরও এলাকার মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে সেই অপমানের জবাব দিয়েছে মিন্টুকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে।
মানববন্ধন কর্মসূচীর পরে ইউ,পি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় করেন। সেখানে তিনি বলেন আমি এক নির্যাতিত আ.লীগ পরিবারের সন্তান। বিএনপি-জামায়াত আমলেও আমাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার, জুলুম করেছে। জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছি তখন। আজ দল ক্ষমতায় থাকার সময়ও নির্যাতিত হচ্ছি। এলাকার মানুষের আস্থা আর ভালোবাসায় বেঁচে আছি। রুবেল-বরকত কিছুদিন আগেও রাজনৈতিকভাবে আমার বিরুদ্ধে ছিল। ষড়যন্ত্র করেছে একের পর এক। আমাকে জিম্মি করে আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছে, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের কথা বলে। এখন আমার বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। এতদিন কথা বলেননি কেন? উত্তরে তিনি বলেন, আপনারাতো দেখেছেন, লিখেছেন হাতুরি বাহিনী, হেলমেটবাহিনীর নির্মম অত্যাচারের কথা। জীবনের ভয়ে কথা বলতে পারিনি সেদিন। তারপরও সাংবাদিকদের লেখার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করার জন্য দলীয় সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মানবতার মাতা শেখ হাসিনা-কে।