মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রশাসনিকভাবে নিষেধ থাকলেও আইন অমান্য করে তারা সর্বত্র এ কাজ করছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কৃষিনির্ভর ফসলি জমি-সরকারী হালটসহ বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়ছে । স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী একটি চক্র বিভিন্ন ফসলি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে অবাধে বালু উত্তোলন করছে। এমনকি নিরীহ মানুষের ফসলি জমি দখল করে বালু উত্তোলন করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী বাজারের দক্ষিনে কুমার নদিতে দীর্ঘদিন যাবৎ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যাক্তিগত জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। ফুকরা -ময়েনদিয়া রোডের নটখোলায় সরকারী সড়কের পাশে ড্রেজার বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন করছেন এস্কেন্দার খালাসী নামে এক ড্রেজার ব্যবসায়ী ।
এছাড়া ফুকরা চাঁনপুর বিল, সোনাপুর খালের ওপার, হোগলাকান্দি কাচা রাস্তার সাইডে, ভাওয়াল ইউনিয়নের তুগোলদিয়া নতুন রাস্তার মসজিদ সংলগ্ন, বালিয়া গট্টি চুলের বিল, ভাওয়াল ইউনিয়নের বারখাদিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বালু খেকো ব্যাবসায়ীরা সরকারী নিয়ম-নীতির কোনও তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় নদি, নালা, খাল-বিল ও ফসলি জমিতে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছে। এসব ড্রেজার দিয়ে রাত-দিন বালু উত্তোলন করায় নদি, খাল বিলে ৪০ থেকে ৬০ ফুট গভীরে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী হালট, নদি গর্ভে চলে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনি বলেন, সরকারী জায়গা থেকে কেউ যদি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে, তাহলে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করতে হলে ভূমি আইন অনুযায়ী জেলা প্রশাসক থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ব্যতীত ড্রেজার ব্যবহার করে কেউ বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।