• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরের কাশিমাবাদে হাসিমুখে কৃষকের আমন ধান কর্তন

ফরিদপুর সদর উপজেলার ৯নং কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদ গ্রামের ডাঙ্গীরপাড়া পশ্চিম মাঠে মৌসুমী ফসল আমন ধান কর্তন করেছে কৃষকরা।

দেশের হাওর এলাকার ৯৮ ভাগ আমন ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে। আর দুইভাগ ধান পুরোপুরি না পাকায় এখনও ক্ষেতে রয়েছে। এ ধানগুলো কাটতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।

সারাদেশের ন্যায় ফরিদপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের আমনের শতভাগ ধান কৃষকের গোলায় উঠবে। শুক্রবার কৃষি অভিজ্ঞ মোঃ ইদ্রিস শেখ এসব তথ্য জানান।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কানাইপুর কাশিমাবাদ ডাঙ্গীরপাড়া পশ্চিম মাঠে প্রায় ৮০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি যে ২০ ভাগ ধান রয়েছে তা ছিটেফোটা ভাবে রয়েছে। এরমধ্যে কেউ স্থানীয় জাত লাগিয়েছে, কেউ উপসী আবার কেউ আমন লাগিয়েছে দেরি করে। এ ধানগুলো কাটতে কৃষকের আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। কানাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার আমন ধানের যে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে  তুলনামূলক ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে।

কৃষক ইনামুল হাসান জানান, ফরিদপুরের হাওরবেষ্টিত উপজেলা ও ইউনিয়নে আমন ধানের উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা আশাকরি পূরণ হবে। অনাবৃষ্টিজনিত কারণে ফরিদপুরের ধান নিয়ে কৃষকরা চিন্তিত ছিল। এছাড়া করোনা ও লকডাউনের কারণে বাইরের জেলা থেকে ধান কাটা শ্রমিক আসতে পারবে না। ফলে মাঠের ষোলআনা ধান কৃষকের গোলায় উঠবে কিনা, আবার আকস্মিক বন্যায় ধান পানিতে তলিয়ে যাবে ইত্যাদি ভাবনা এতদিন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কারণ ইউনিয়ন পর্যায়ে এই মৌসুমের ধান জেলার মোট উৎপাদনের প্রায় ২০ ভাগ।

 ভারী বর্ষণে চাপাই ও পদ্ম বিলের বাঁধ ভেঙে ভাসিয়ে নিয়েছিল কৃষকের সোনালী ফসল। বিনষ্ট হয়েছিল সব পাকা ও আধাপাকা ধান। ধান হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলেন ফরিদপুরের অনেক  কৃষক। এবারও সেই শঙ্কা, সেই ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল তাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ধান কাটার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নতুন কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার বরাদ্দ দিয়েছে। যে কারণে দ্রুত ধান কাটা সহজে সম্পন্ন হচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।