প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। ইতোমধ্যে ভাইরাসটি ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে একযোগে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত (বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টা) বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ৭৮ হাজার ২৫২ মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৩২১ জনের।
করোনাভাইরাসের থাবায় সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকার। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৮ জন। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৭২ হাজার ৮৭৬ জনের।
আমেরিকায় শুধু সাধারণ মানুষ নয়, এই ভাইরাসের কবলে পড়েছে দেশটির সেনাবাহিনীও। এরই মধ্যে প্রায় ৫ হাজার মার্কিন সেনা সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে প্রাণহানি এড়াতে সেনাদের জন্য এবার এমন একটি ডিভাইস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যেটা পরলে সঙ্গে সঙ্গেই জানা যাবে করোনায় আক্রান্ত কি না। ভাইরাস সংক্রমণের পূর্ব সতর্কতা পাওয়ার জন্য দ্রুত এই ডিভাইসযুক্ত পোশাক আনার চেষ্টা চলছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী মেডিকেল টেকনোলজি এন্টারপ্রাইজ কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে ডিভাইসটি বিকাশের জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার বিড দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী আশা করছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত ১০টি চুক্তি হবে।
সেনাবাহিনীর প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর প্রাক-লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে, আলাদা করতে এবং ভাইরাসের বিস্তার রোধ/প্রতিরোধ করার জন্য দ্রুত এই ডিভাইস দরকার।
বিডে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী এমন একটা প্রমাণিত প্রযুক্তির সন্ধান করছে যেটা বিদ্যমান পরিষেবার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। যেটা পরা থাকলেই শনাক্ত হবে করোনা। বৃহৎ আকারে উৎপাদনে সক্ষম সংস্থাগুলোকে বিডে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই কিটসগুলো এমন হবে, যা পরিধানযোগ্য এবং ব্যবহারকারীর দৈনিক ক্রিয়াকলাপে কোনও প্রভাব ফেলবে না। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধের মূল চ্যালেঞ্জ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ এবং লক্ষণবিহীন রোগীদের শনাক্ত করা। ভাইরাসের বিস্তারে এসব লক্ষণবিহীন রোগীরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
এই প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পজেটিভ ব্যক্তিদের জন্য শারীরবৃত্তীয় নজরদারি চূড়ান্ত লক্ষণ, যা এখনও স্পষ্ট হয়নি তেমন পর্যায়ে শনাক্ত করাই হবে এই ডিভাইসের উদ্দেশ্য।
সূত্র: মিলিটারি ডটকম, নেক্সটগভ, ডিফেন্স কমিউনিটি