বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমেছে: জন হপকিন্স
গত পাঁচ দিনের কোভিড-১৯ আক্রান্তের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস ট্র্যাকার বলছে মহামারীর প্রকোপ কমে আসতে শুরু করেছে বাংলাদেশে।
ঠিক এ সময়ে ব্রাজিল, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পেরু, ইরানসহ বিভিন্ন দেশে করোনা মহামারীর প্রকোপ বেড়েছ। পাশাপাশি করোনার প্রকোপ কমে এসেছে বাংলাদেশসহ রাশিয়া, চিলি, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে।
জন হপকিন্স ট্র্যাকার বলছে: বাংলাদেশে কোভিড-১৯’র প্রথম কেসটি ১১৯ দিন আগে মার্চের ৮ তারিখে ধরা পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬২৪১৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২০৫২ জন মারা গেছেন।
তারা বলছে, গেল জুন মাসই ছিল করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকির মাস। বাংলাদেশে স্থানীয় সংক্রমণের ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭তম সপ্তাহজুড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু সমান্তরালভাবে পিকে ওঠে। ১৮তম সপ্তাহে এসে এ দুটির রেখাচিত্র নিম্নমুখী। মাঝে এক দিন মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হলেও সাপ্তাহিক হিসাবের গড়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব পড়েনি। বরং মৃত্যুহারে দিনে দিনে বাংলাদেশ নিচে নেমে এসেছে। এমনকি গতকাল ৫৫ জনের মৃত্যু হলেও তাতে মোট গড় মৃত্যুহার বাড়েনি, বরং আগের কয়েক দিনের মতোই ১.২৬ শতাংশ ছিল।
ওই তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ১৪-১৭তম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১ হাজার ৩৫৩, ২৪ হাজার ৩০৬, ২৫ হাজার ২০৩ ও ২২ হাজার ৪১৩। চার সপ্তাহে মোট ৯১ হাজার ৩৭৫। যা এ পর্যন্ত মোট সংক্রমণের ৫২.৪২ শতাংশ। অন্যদিকে মৃত্যু ছিল সপ্তাহপ্রতি যথাক্রমে ২৯৩, ২৮৬, ২৭০ ও সর্বোচ্চ ৩০২ জন। আর ১৮তম সপ্তাহে মোট শনাক্ত হয় ২০ হাজার ৬১১ জন। এই সপ্তাহে এসে মৃত্যু কমে আসে ২৫৯ জনে। আগের চার সপ্তাহে মোট মৃত্যু এক হাজার ১৫১ জন, যা এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর ৫৬.০৯ শতাংশ।