• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
বোয়ালমারীতে সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত পাট চাষিরা

সনতচক্রবর্ত্তীঃফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সোনালী (পাটের) আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করেছে নতুন পাট। বাজারে দামও বেশ ভালো যাচ্ছে। পাটের আঁশ সংগ্রহ, ধোয়া ও শুকানোর কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে বোয়ালমারীতে।
কয়েকদিনে বোয়ালমারীর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে দেখা যায়, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, নারী-পুরুষ মিলে রাস্তার পাশে বসে কিংবা বাড়ির উঠোনে বসে গাছ পাট থেকে আঁশ সংগ্রহ করছেন।
আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে যখন বর্ষার পানিতে খাল-বিল, ডোবা-নালা ভরে ওঠে সোনালী স্বপ্ন নিয়ে সোনালী আঁশ ঘরে তুলতে বেড়ে যায় কৃষক-কৃষাণীর ব্যস্ততা। প্রতি বছরের মতো চলতি মৌসুমে বোয়ালমারীতে নতুন পাট ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এলাকার কৃষক-কৃষাণীরা। এখন চলছে পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডোবা ও বিলের পানির মধ্যে জাগ (পচাতে) দেওয়া পাট থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন কৃষক। শুধু কৃষক নয় এলাকায় পাটকাঠির চাহিদা থাকায় কৃষকদের সঙ্গে প্রতিবেশিরাও আঁশ ছাড়িয়ে দিয়ে পাটকাঠি সংগ্রহ করছেন।

উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না গ্রামের কৃষক হাচান বিশ্বাস জানান, এবার তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। ইতিমধ্যেই ৩ বিঘা জমির পাট কেটেছেন। এ পাট জাগ দিয়ে আঁশ সংগ্রের পর এখন বাঁশের আড়ের উপর শুকাচ্ছেন।

মৌসুমের শুরুতেই পাট বিক্রি করে ভাল দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। ফলনও হয়েছে ভাল। উপজেলার সাতৈর , ময়েনদিয়া ,বড়গাঁ, সহস্রাইল হাট-বাজার গুলোতে প্রতিমণ পাট ৩ হাজার ১ শত থেকে ৩ হাজার ২টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই ভাল ফলন ও আশানুরুপ দাম পেয়ে বিগত বছর গুলোর লোকসানে পড়া কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার প্রীতম হোড় বলেন,এবছর আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ না থাকলেও ফলন ভালো হয়েছে । এ বছর পাটের রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন ছিল না। দামও ভাল থাকায় এ বছর কৃষকরা বেশী লাভবান হবেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।