কভিড-১৯ লাখের কাছাকাছি পরীক্ষা, শনাক্ত প্রায় ১২ শতাংশ
আক্রান্তের সংখ্যা যখন প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে, তখন সাধারণ ছুটির শর্ত শিথিল করতে শুরু করেছে সরকার। শিল্প-কারখানা খুলেছে। রাস্তাঘাট, হাট-বাজারেও বাড়ছে ভিড়। রোববার থেকে খুলবে শপিং মল। চলবে ঈদের কেনাকাটা। এমন সমীকরণ সামনে-পেছনে রেখে বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা এক লাখের কাছাকাছি চলে এসেছে গতকাল।
পরীক্ষা করা নমুনার মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৭১৯টি। অর্থাৎ বাংলাদেশে উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করতে যাওয়া রোগীদের প্রায় ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ পরবর্তী সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৭৯০ জন। ৬ হাজার ২৪১টি নমুনা পরীক্ষায় এসব রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিনজনসহ মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮৬ জনের।
গতকালের বুলেটিনে নমুনা পরীক্ষার জন্য বুথ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে তিনটি ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মেমোরিয়াল স্পেশাল হাসপাতালে একটি বুথ তৈরি করা হয়েছে। এই বুথ তৈরির কার্যক্রম চলমান আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিকল্পনা করছে, করোনা নমুনা সংগ্রহে এ ধরনের বুথ সবার হাতের নাগালে পৌঁছে দেয়ার। এই বুথের সংখ্যা অনেক বেশি বাড়ানো হবে। তিনি জানান, যারা সিনিয়র সিটিজেন বা বয়স্ক, বেশি অসুস্থ, শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনা হবে। এর বাইরে
সাধারণ রোগীদের এসব বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহের ওপর জোর দেয়া হবে।
বাংলাদেশে গত ২ মে পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১৭৭ জন। এরপর সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যায় কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ‘নীতিমালা’ বদলে ফেলায় ৩ মে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৩ জন। এর পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা, যা গত ৫ মে উন্নীত হয় ১ হাজার ৪০২ জনে। তবে গতকালের বুলেটিনে সুস্থ রোগীদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।