রাজশাহী মহানগরীর বাজারে এসেছে অপরিপক্ক লিচু।মধুমাস জ্যৈষ্ঠের আগেই এবার বাজারে দেখা মিলেছে রসালো ফল লিচুর। অপেক্ষাকৃত অপরিপক্ক এসব লিচুর দাম তুলনামূলক অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, কেবল বাজারে উঠতে শুরু করেছে তাই দাম বেশি। আর এক সপ্তাহ পর গাছপাকা লিচু উঠবে বলেও আভাস দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুর, সাহেববাজার ও হড়গ্রাম বাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে লিচু। ব্যবসায়ীরা জানান, এ মৌসুমে প্রথম বাজারে লিচু উঠেছে। প্রতি ১০০ পিস লিচু তারা বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায়। কিছু দিন পর বেশি পরিমাণে লিচু উঠলে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হবে। এখন চড়া দরে কেনায় বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এসব লিচু টক। অপরিপক্ক লিচু আগাম দামের আশায় ব্যবসায়ীরা বাজারে তুলেছে।
লিচু বিক্রেতারা জানান, এখন বাজারে নগরীর ছোটবনগ্রাম ও রায়পাড়া এলাকার কিছু লিচু বাজারে এসেছে। মৌসুমের শুরুতেই তারা সেসব বাগান মালিকদের কাছ থেকে লিচু কিনে বাজারে খুচরা বিক্রি করেন। দাম বেশি হওয়ায় বেচাবিক্রি খুব একটা জমেনি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এক বিক্রেতা বলেন, প্রথম বাজারে আসায় ক্রেতারা আগ্রহ নিয়েই লিচু দেখছেন। কিন্তু দাম শোনার পর বেশিরভাগ ক্রেতাই পিঁছুটান দিচ্ছেন। এ ব্যবসায়ী জানান, এখন রোদের তেজ নেই। রাতের বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া ঠাণ্ডা। তাই লিচুর বিক্রি কম। পাশাপাশি চড়া দাম প্রভাব ফেলেছে বিক্রিতে। আবহাওয়া তপ্ত হয়ে উঠলে বিক্রি বাড়বে রসালো এ ফলের।রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজশাহী জেলায় ৪৯৮ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষাবাদ হয়েছে। গত বছর ৪৯০ হেক্টর জমিতে ও ২০১৮ সালে ৪৮০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতি হেক্টর জমিতে এবার সাড়ে ৫ টন লিচু উৎপাদন হবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামছুল হক গণমাধ্যমকে জানান, এ বছর লিচুর ফলন ভালো হবে। কারণ গাছে হালকা লিচু রয়েছে। গাছে পরিমাণে কম লিচু থাকলে ওজন ও আকারে বড় হয়। এর ফলে চাষিরা লাভবান হবেন।