তারিখঃ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২,সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় জেলেদের জাল মৎস্য বিভাগ কর্তৃক নিয়ে যাওয়ায় হতাশায় ভুগছে জেলে পরিবারগুলো। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোলখালী গ্রামে। জেলে দুলাল হাওলাদার, আহম্মেদ হাওলাদার, আনিচ খলিফা, ফারুক মৃধা বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক আটটার দিকে আমাদের বাড়ির সামনে থেকে ৭টি বেন্দি জাল ট্রলার থেকে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা নিয়ে যায় এবং ট্রলারে থাকা ডিজেল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে দেয়া শীত বস্ত্র কম্বলও নিয়ে যায়। এখন আমরা সব হারিয়ে অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছি। এ বিষয়ে জেলে দুলাল হাওলাদার বলেন, আশা এনজিও থেকে ঋণ করে আমি দুটি মাছ ধরার জাল তৈরি করি। আমার ঘরের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। আমার স্ত্রী জাল নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে স্টক করে ঘরে পরে আছে। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারছি না। নিজেও কোন কাজ করতে পারছি না। কি করব ভেবেই পাচ্ছি না। আমি এখন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে আছি- এই বলেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। জেলে দুলাল হাওলাদারের অসুস্থ স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০) জানান, ‘আমার স্বামীর জাল দুটিই ছিল আমাদের পরিবারের উপার্জনের একমাত্র সম্বল। কিভাবে ব্যাংকের ঋণ শোধ করব, কিভাবে চলবে সংসার’? এ কথা বলেই তিনি কান্না অবস্থায় মাটিতে পরে যান। এ বিষয় নিয়ে ইউপি সদস্য মো. মনির মীর বলেন, আসলেই দুলাল হাওলাদারের পরিবারটি খুব অসহায়। জাল নিয়ে গেছে শুনে দুলালের স্ত্রী ফরিদা বেগম স্টক করেছে। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা হচ্ছে না। ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। উপজেলা মৎস্য অফিসের সহকারি কর্মকর্তা মো. মিলন মিয়া বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, জেলে দুলাল হাওলাদারের স্ত্রী অসুস্থ হয়েছে। আমি স্যারের সাথে আলোচনা করে দেখব জেলে অসহায় দুলালের জন্য কিছু করা যায় কিনা।