• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
বোয়ালমারীতে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী বটগাছ

সনতচক্রবর্ত্তী:ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত বছরের ঐতিহাসিক বটগাছ। প্রায় শত বছরের নানা ধরনের স্মৃতি ধারণ করে আজও দাঁড়িয়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা জানা যায় , কোথা থেকে বটগাছ এলো বা প্রথমে বটগাছটি কে লাগিয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা জানা যায়নি।তবে ধারণা করা হয়, কোন এক ব্যক্তি মানুষের বিস্রাম জন্য গাছটি রোপন করেন। বটগাছটি ঘিরে গল্প কথা জড়িয়ে আছে। বর্তমানে এই বটগাছের নিচে বিভিন্ন ধরনের হিন্দু সম্প্রদায়ের পৃজা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত বটগাছের শোখর ও ডালপালা মাটিতে পড়ে আবার পুনরায় গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন ডালপালা ও শোখর থেকে বিশাল বিশাল বট গাছ জন্মে একসাথে জড়িয়ে রয়েছে। আবার কিছু দুর ডালপালা থেকে অসংখ্য বটগাছ হয়েছে।মূল গাছ না থাকলেও শাখা প্রশাখার বটগাছ গুলো দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে। কমপক্ষে হলেও ১০ থেকে ১৫টি এমন গাছ রয়েছে। ডাল পালাগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই বট গাছের নিচে দুটি মন্দির রয়েছে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় গাছটিকে ঘিরে বারো মাস পূজা-অর্চনাও করে থাকেন।বট গাছটির নিচে বারোয়ারী দুটি মন্দির আছে। গাছটির ঝুলন্ত লতা আর শেকড় নেমে বহু গাছের সৃষ্টি হয়েছে।

ময়না সরজিত কৃত্তনিয়া বলেন ,বাবার কাছে শুনেছি এ গাছের ডালপালা কেউ ভয়ে কাটাত না। এমনকি ভয়ে কেউ পাতাও ধরত না। সেই ভয়ে এখনো অনেকে গাছের ডালপালা ভাঙে না। যখন গাছে ফল পেকে যায় তখন দেখতে দারুণ লাগে।

ময়না সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কালিপদ চক্রবর্ত্তী(৮৫) বলেন, আমার জন্মের পর থেকেই এ বটগাছটি দেখে আসছি । এই বটগাছের কত বয়স হবে তা সঠিক ভাবে বলতে পারবো না। বর্তমানে বটগাছের নিচে হিন্দু সম্প্রদায়ের পৃজা অনুষ্ঠিত হয়।একসময় পূজাকে কেন্দ্র করে গ্রামীন মেলা বসতো।শতবর্ষ এই বটগাছটি সংরক্ষণ করা হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের পৃজা সঠিক ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।