বেশি বয়সী মানুষেরা তাদের হাতের কবজির শক্তি মেপে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বুঝতে পারেন। ডায়াবেটিস বিপাক গবেষণা এবং পর্যালোচনা বিষয়ক জার্নালে বলা হয়েছে, হ্যান্ডশেকের সময় কিংবা কবজি দিয়ে অন্য কোনো কাজ করার সময় যার শক্তি যত বেশি থাকে, তার টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি তত কম।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টল এবং ইস্টার্ন ফিনল্যান্ডের গবেষকেরা ২০ বছর ধরে গবেষণাটি করেছেন।
দীর্ঘ এই সময়ে তারা ফিনল্যান্ডের ৭৭৬ জন মানুষের শারীরিক তথ্য পর্যবেক্ষণ করেন, যাদের বয়স ৬০ এবং ৭২ বছরের ভেতর।
গবেষণায় অংশ নেয়া একজনেরও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ইতিহাস ছিল না। পরে দেখা যায়, ৫৯ জন ডায়াবেটিসে পড়েছেন।
গবেষণার শুরুতে ডায়নোমিটার ব্যবহার করে সবার হাতের কবজির শক্তি পরিমাপ করা হয়। লম্বা সময় ধরে চলা এই গবেষণায় পরে দেখা যায়, যাদের ডায়াবেটিস হয়েছে তাদের কবজির শক্তি কমে গেছে। নারীদের এই প্রবণতা বেশি।
গবেষকেরা লিখেছেন, ‘হ্যান্ডগ্রিপের শক্তি মূল্যায়ন করা খুব সহজ। এভাবে শক্তি মেপে সাধারণ মানুষ টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আগেভাগে বুঝতে পারেন। ’
ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায় কি না, সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। এ বিষয়ে তারা আরও গবেষণা করার কথা জানিয়েছেন।
শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়। উৎপন্ন ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ না করলেও এটি হতে পারে। সাধারণত ৪৯ বছর বয়স থেকে রোগটি হয়। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় পরিস্থিতি ভিন্ন। এই অঞ্চলে ২৫ বছর বয়সেই অনেকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন।