বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনুপ্রেরণায় আত্মজীবনী লেখা শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এমনটাই জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে গিয়ে তাকে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে। আমার মা সবসময় অনুপ্রেরণা দিতেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) যেন তার জীবনীটা লিখে রাখেন। সেই থেকে তিনি কিন্তু লিখতে শুরু করেন। যতবার কারাগার থেকে মুক্তি পেতেন আমার মা জেলগেটে উপস্থিত থেকে আর কিছু না হোক লেখার খাতাগুলো তিনি সংগ্রহ করে রাখতেন।
আজ বুধবার অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ব্রেইল সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ১০০টি ব্রেইল সংস্করণ বের করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষ থেকে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন মন্ত্রিপষিদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।