• ঢাকা
  • শনিবার, ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং

সাড়ে তিনবছরে তিন মাসও অফিস করেনি যিনি

ভাঙ্গায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে

(ছবিতে ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের মরিচা পড়া সাইনবোর্ড)

মোঃ রমজান সিকদার, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি-৭/০৩/২০২১

ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ জমসেদ শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরের জীবনে ভাঙ্গায় কর্মদিবস হিসাবে তিন মাসও অফিস না করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হলেও তিনি মিনি অফিস খুলেছেন ফরিদপুরের তেতুলতলা মিষ্টির দোকানে। যেকোন কাজের জন্য ভাঙ্গার প্রায় অর্ধ শতাধীক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগন সেখানে গিয়ে কাগজপত্র সহি করান। তার অফিস ফাকি দেওয়ার কারনে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান দিন দিন অবনতি হয়েছে। ঠিকমত অফিস না করার কারনে নিজ প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডটি মরিচা ধরে খসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। কোন ভাবে বোঝাই যায়না এটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাযার্লয়। তিনি স্বগৌরবে শিক্ষকদের কাছে বলে থাকেন তার শরীরের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের একটি হাসপাতালে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। তিনি। এছাড়াও প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকার ঔষধ খেতে হয় তাকে। অথচ নিদিষ্ট একটি বেতনে চাকরি করে কিভাবে এই টাকার যোগার দেন তিনি তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে মাধ্যমিক কর্মকর্তা ২০১৭ সালের জুন মাসে ভাঙ্গায় যোগদান করেন। তার পর হতেই প্রতিটি স্কুলে নিয়োগ বানিজ্য থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বই বিতরেন তার রয়েছে আর্থিক বানিজ্যর ব্যাপক অভিযোগ। তার আমলে ভাঙ্গার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে জন প্রতি ২০ লাখ পর্যন্ত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উক্ত টাকার সিংহ ভাগটাই তার পকেটে চলে যাওয়ার ঢের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ পর্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সহকারি শিক্ষক নিয়োগ ও কর্মচারি নিয়োগেও তার বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা গ্রহনের একাধীক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সরকার কতর্ৃক এনটিআরসির নিয়োগে বিল করিয়ে দেওয়ার নাম করে একাধীক শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। দীর্ঘদিন তার কাছে জিম্মিদশায় থেকে অবশেষে পরিতানের জন্য ভাঙ্গার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অথচ অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে তার অবস্থান হতে একচুল নড়াতে পারে নাই কেউ। মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে রয়েছে তার নিকট আত্মীয়। তার প্রভাব খাটিয়ে সে ধরাকে সরা জ্ঞান করে বহার তবিয়াতে চালিয়ে যাচ্ছেন তার কর্মকান্ড। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগনদের দাবি মেয়াদ উত্তর্ীন করেও তার আত্মীয়র প্রভাব খাটিয়ে সে খাম খেয়ালিমত কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে ভাঙ্গার শিক্ষা ব্যবস্থার চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ জমসেদ মুঠোফোনে জানায়, তিনি একজন গুরুত্বর অসুস্থ্য রুগি। তাই নিয়মিত অফিস করতে পারেননা। তবে তার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ শিক্ষকগন করেছেন তা সত্য নয়। আমাকে বিতারিত করতেই একটি মহল নানা পায়তারা শুরু করেছে। তাছাড়া আমি চেষ্ট চালাচ্ছি ফরিদপুর জেলা সদরে বদলি হতে। এর জন্য একটু সময় প্রয়োজন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« জানুয়ারি    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।