বছরের সবচেয়ে বড় চাঁদ দেখা যাবে বুধবার
করোনার ঘরবন্দি রাতেই দেখা যাবে বছরের সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল চাঁদ। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে আলো ছড়াবে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। অবশ্য এর আগের দিনও দেখা যাবে কোনো কোনো দেশে।
চাঁদ উপবৃত্তাকার কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে অর্থাৎ যখন কক্ষপথে চাঁদ পৃথিবীর ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কাছাকাছি দিয়ে প্রদক্ষিণ করে- তখন সুপার মুন হয়।
আর এপ্রিলের এই চাঁদকে বলা হয় সুপার পিংক মুন।
সুপার মুনের দূরত্ব হবে পৃথিবী থেকে ৩৫ লাখ ৭ হাজার কিলোমিটার। আর সাধারণত পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব হয় ৩৮ লাখ চার হাজার ৪০০ কিলোমিটার।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার অনেক জায়গায় এই চাঁদ সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে বুধবার। যারা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় থাকেন এবং ইউরোপ ও আফ্রিকায় যাদের বাস তাদের জন্য এই চাঁদ দেখার সবচেয়ে ভালো সময় মঙ্গলবার।
অর্থাৎ, পৃথিবীর যে দেশেই থাকুন না কেন, এই দুই তারিখের একদিন আগে বা পরেও আপনি সুপার মুনের দারুণ জ্যোতি ও দৃশ্য দেখতে পারবেন।
মূলত বিশাল আকৃতির জন্য এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘সুপার’ বলা হচ্ছে। তবে এই পূর্ণ চন্দ্রের নাম পিংক মুন হলেও এটি গোলাপি নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এপ্রিল মাসে বসন্তের শুরুতে ফ্লক্স নামে এক ধরনের বুনো ফুল ফোটে যার রং গোলাপি আর সেখান থেকেই এপ্রিলের পূর্ণ চাঁদের নাম পিংক মুন।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এর আলাদা নাম আছে- যেমন গ্রাস মুন (ঘাস-চাঁদ), এগ মুন (ডিম-চাঁদ) এবং ফিশ চাঁদ (মাছ-চাঁদ)।
অসাধারণ ঔজ্জ্বল্য আর বিশাল আয়তন ছাড়াও এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। খ্রিস্টানদের ইস্টার পালিত হবে পূর্ণিমার পরের রবিবার। সেইদিন দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারের দৈর্ঘ্য হবে সমান যাকে বলা হয় বসন্তকালীন ইকুইনক্স। ভারতের হিন্দুরা এই সময় উদযাপন করে হনুমান জয়ন্তী। আর পূর্ণিমার দিন শুরু হয় ইহুদীদের পাসওভার।
এর আগে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসেও দুটি সুপারমুন দেখা গিয়েছিল। তবে বছরের সবচেয়ে বড় চাঁদ দেখা যাবে বুধবারই।
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি মাসে একটা সময় চাঁদ ও পৃথিবীর সূরত্ব সবচেয়ে কম হয়। প্রতি মাসেই সুপার মুনের একটা আলাদা নাম থাকে। এ বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নাম যথাক্রমে উলফ মুন, স্নো মুন, ওয়ার্ম মুন, পিঙ্ক মুন, ফ্লাওয়ার মুন, স্ট্রবেরি মুন, বাক মুন, স্টারজিয়ন মুন, কর্ন মুন, হান্টার্স মুন, বিভার মুন ও কোল্ড মুন।