ফরিদপুরে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা
জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর
প্রকাশিতঃ 4 বছর আগে
264 বার দেখা হয়েছে
০
আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে চোখ খুবই শৌখিন এবং গুরুত্বপূর্ণ। চোখ না থাকলে আমরা দেখতে পেতাম না এই সুন্দর পৃথিবীকে এবং আমাদের প্রিয়জনদের। তাই, চোখ যাতে ভালো থাকে তার জন্য আমাদের উচিত সর্বদা চোখের যত্ন নেওয়া। আর এই চোখের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধিতেই পালন করা হয় ‘বিশ্ব দৃষ্টি দিবস’।
প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন করা হয়। আজ ৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। স্বল্পদৃষ্টি, অন্ধত্ব ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই দিনটি উদযাপন করা হয়। বিশ্ব দৃষ্টি দিবস চোখের স্বাস্থ্য ক্যালেন্ডারে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিন।
“হোপ ইন সাইট বা দৃষ্টি জুড়ে আশা” এই শ্লোগান নিয়ে এ বছর পালিত হচ্ছে দিবসটি। দিবসটি উপলক্ষে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে সকাল ৯ টায় সিভিল সার্জন অফিস চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। র্যালীটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর হাসপাতাল চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানেই এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ রাহাত আনোয়ার চৌধুরী, অন্ধ কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আঃ সামাদ, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহফুজুর রহমান বুলু ও ডাঃ মোঃ ফারুকুজ্জামান।
বক্তারা বলেন, চক্ষু মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের অন্যতম। এই কারণে আমাদের সকলের চোখের বিশেষ যত্ন নেয়া দরকার। কারণ অসচেতনতার কারণে অনেক সময় চোখে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়, অথচ একটু যত্নবান হলেই আমাদের চোখের যে কোনো সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব।যাদের চোখের আলো নেই তারাই শুধু বুঝে এর যন্ত্রনা। এজন্য চক্ষু পরীক্ষার বিষয়ে জোর দিতে হবে, যাতে সকলে সর্বত্র ভাল দৃষ্টিশক্তির অধিকারী হয়ে উঠতে পারেন এবং চোখের যত্ন নিতে পারেন। একটা চক্ষু পরীক্ষার পরিকল্পনা করতে পারেন এবং আপনার আশেপাশে স্কুলপড়ুয়া,তরুণ তরুণী, বয়স্ক, যাঁদের ডায়বেটিস আছে সেখানে তাঁদের চোখ পরীক্ষা করান। আগামীদিনে মানুষের মধ্যে দৃষ্টিক্ষীণতা বা মায়োপিয়া, ডায়বেটিক রেটিনোপ্যাথি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এ সকল রোগ যেন বৃদ্ধি না পায় সে লক্ষ্যেই এ দিবস। চোখের প্রতি যদি সকলেই যত্নবান হয় তাহলেই এ দিবস পালনের সার্থকতা।