মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
আলোচিত আবরার হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট জানিয়েছেন মামলার প্রধান আসামী মেহেদী হাসান রাসেলের বাড়ি ফরিদপুরের সালথাবাসী।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামিকে মৃত্যু এবং পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
এ রায়ে এলাকাবাসী, সুশিল সমাজ, রাজনীতিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এ রায়ে সন্তুষ্ট জানিয়েছেন।
এদিকে এই মামলার ফাসিঁর প্রধান আসামী বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এর বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে। সুনসান নিরবতায় রয়েছে বাড়ির পরিবেশ। তেমন কারো সাথেই কথা বলতে চাচ্ছেন না রাসেলের পরিবার। সেখানে তার পিতা, মাতা ও ছোট ভাই বসবাস করে।
রাসেলের পিতা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে জানান, আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না এই বিচারের রায় নিয়ে। রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এতটুকু বলবো আমার ছেলে সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো না।
এ রায়ে সালথা উপজেলার সুশিল সমাজ, রাজনীতিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সন্তুষ্ট জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ জানান, রাসেলের পরিবারের তিন সদস্য এখানে বাস করে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রাসেল পড়াশুনা করার জন্য ঢাকা থাকতো। আমরা জানতাম রাসেল বুয়েটে পড়ে সে অনেক মেধাবী। রাসেল ছাড়া সবাই বাড়িতেই থাকতো।
এলাকাবাসী আরো জানান, আদালত যেটা সঠিক মনে করেছে সেই রায় ঘোষনা করেছেন। তবে আমরা বলবো এই জঘন্যতম ঘটনার যে বিচার দ্রুত সময়ে হয়েছে এই জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে এ রায় দ্রুত কার্যকর করে দেশকে কলংকমুক্ত করার দাবী জানাচ্ছি।
১২ ডিসেম্বর ২০২১