খাগড়াছড়িতে ‘ইমার্জেন্সি রিজার্ভ ফান্ড ফর বাঙ্গালকাটি’র উদ্যোগে জেলা সদরের ৪নং পেরাছড়া ইউনিয়ন পল্টনজয় পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাঙ্গালকাটি মৌজার ১০টি গ্রামের ৮৭জন প্রান্তিক চাষীদের করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় জনপ্রতি ১হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (০৮আগস্ট ২০২০খ্রি.) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক দীনময় রোয়াজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশা প্রিয় ত্রিপুরা, তহবিল সংগ্রহের প্রধান সমন্বয়কারী, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক খোকনেশ্বর ত্রিপুরা (খুমুই), পেরাছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রশান্ত ত্রিপুরা, পেরাছড়া ইউনিয়নের ১নং সদস্য খোকন বিকাশ ত্রিপুরা, ২নং ওয়ার্ড সদস্য সরলাল ত্রিপুরা, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য জ্যোৎস্না কান্তি ত্রিপুরা ও মহিলা সদস্য চনিতা ত্রিপুরাসহ এলাকার গন্যামান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় প্রধান অতিথি দীনময় রোয়াজা বলেন, এটি কোন সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা থেকে সহায়তা নয় বরং এলাকার সন্তানরা বিভিন্ন জায়গায় দেশে-বিদেশে যারা কর্মরত তাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতায় এই করোনাকালীন সংকট মোকাবেলার জন্য আপনাদের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে। আমরা দূরে থাকলেও প্রতিবারের মত এই সংকটেও আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো। আপনারাও একতাবন্ধভোবে ধৈর্য ধরে এই করোনা সংকট মোকাবেলা করবেন।
সভায় খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের নেতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রয়েল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্যে খোকনেশ্বর ত্রিপুরা (খুমুই) বলেন, আমরা দূর দূরান্তে থাকলেও এলাকার প্রতি আমাদের আন্তরিকতার শেষ নেই। তবে কেউ আমরা লাখপতি বা কোটিপতি নই, তারপরও আমাদের সাধ্যমত আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি এবং ভবিষ্যতেও চেষ্টা থাকবে। যারা অনলাইন-অফলাইনে সহযোগিতা করেছেন সে সকল দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা আমাদের প্রজন্মদের সুশিক্ষিত করার ক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে চাই। সবার সহযোগিতায় বাঙ্গালকাটি এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগনকে সুন্দর আগামী উপহার দিতে পারবো বলে আমরা আশা করি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই সেটা মাথায় রেখে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
অচাই পাড়া, বাঙ্গালকাটি পাড়া, বেলতলী পাড়া, খামার পাড়া, হাপং পাড়া, পল্টন জয় পাড়া, কাপতলা পাড়া, লার্মা পাড়া ও চেলাছড়া পাড়ার প্রান্তিক চাষীগন এই মহতী উদ্যোগের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।