সনতচক্রবর্ত্তী:ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন গাছে ঝুলছে পাকা আম।সেগুলি পেকে তলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে , অথচ কেউ ছুঁয়েও দেখছে না।
জেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন এমই এক চিত্র দেখা গেছে । কারণ প্রায় সব আমেই পোকা। কোন আমটা ভালো তা খুঁজে পাওয়া মুসকিল ।
জেলার বোয়ালমারী , মধুখালি , আলফাডাঙ্গা , উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দু-চারটি করে আমগাছ রয়েছে। কিন্তু মধু মাস জৈষ্ঠ্যের সময় আমের গল্প নেই কোথাও।কোথাও আম নিয়ে উৎসাহ নেই এমনকি মজা করে আম পাড়া বা খাওয়ার দৃশ্য নেই কোথাও। অথচ প্রতিবারই আমের মৌসুমে প্রায় সবার মধ্যে থাকে বাড়তি উচ্ছলতা।
বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের সুমন সরকার বলেন, “পাকা আম মানেই পোকা। তাই গাছের আম পোক্ত হওয়ার পরও কেউ আম পাড়ছে না।“
মধুখালি উপজেলার কামারখালি সাংবাদিক গৌতম বিশ্বাসের বলেন, আমার আম গাছ আছে ১২টি।কিন্তু খাবার অনুপযোগী কারণ সব আমে পোকা। পাকা আম কাটলেই পোকা। তাই পাকা আম পড়ে থাকলেও কেউ কুড়াচ্ছে না।
তিনি দুঃখ করে বলেন, “গাছের আম গাছেই পেকে ঝরে পড়ছে। এবার আম কিনে খেতে হচ্ছে।
বোয়ালমারী কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম হোড় বলেন,
মুকুল আসার পর ওষুধ না দেওয়ায় এমন হয়েছে বলে মনে করেন।তিনি আরো বলেন,
যারা আম চাষ করেন তারা মুকুল আসার সময় ওষুধ ছিটান।নিয়মিত পরিচর্যা করেণ সেই সব গাছ মালিকদের আমে পোকা নেই বললেই চলে। যাদের আমগাছ আছে তারা কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ নিলে এমন হবে না বলে মনে করেন ।