আলমগীর কবির, আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
আলফাডাঙ্গায় স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনের শিকার এক গৃহবধূ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলাধীন বানা ইউনিয়নের রুদ্রবনা গ্রামের লায়েক শিকাদারের মেয়ে মোঃ রবিয়া বেগম(২০) কে গত ০১/০৬/২০২০ ইং তারিখে উপজেলাধীন গোপালপুর ইউনিয়নের কুলধর গ্রামের মোঃ আফসার ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ সোহেল ভূঁইয়ার সঙ্গে উভয় পক্ষের সম্মতিতে প্রায় দুই লক্ষাধীক টাকা স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে পারিবারিক ভাবে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
বিবাহের পর হতেই যৌতুক লোভী স্বামী সোহেল ভূইয়া ও শাশুড়ি শিরিনা বেগম নব বধূর সঙ্গে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে খারাপ আচরণ করতে থাকে। সময়ে অসময়ে গৃহবধূর সঙ্গে খারাপ আচরণ সহ মারপিট করে ও বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন টাকা যৌতুক দাবি করে।
নির্যাতনের শিকার রুবিয়া বেগম যৌতুকের বিষয়টি তার পিতামাতা কে জানালে পিতামাতা মেয়ের সূখের কথা চিন্তা করে প্রায় চার মাস আগে পুন:রায় আরও এক লক্ষ টাকা যৌতুক দেন। পুন:রায় আরও এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করলে রুবিয়ার পিতামাতা মেয়ের সূখের কথা চিন্তা করে শত কষ্ট করে হলেও আবার পঞ্চাশ হাজার টাকা দেন।
এটাতেই শেষ হয়নি যৌতুকলোভী স্বামী আবারও গত ০১/০১/২০২১ ইং তারিখে এক লক্ষ টাকা দাবি করে দিতে না পারলে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়।
কিন্তু এবারে রুবিয়ার পিতামাতা এই অযৌক্তিক দাবি তারা গরীব মানুষ কোথায় থেকে দেবে এটি জানিয়ে দেয়।
এ সংবাদ পেয়ে পাষন্ড স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও তাকে মারপিট করে এবং বলে যে তোর পিতামাতা টাকা দিতে না পারলে তোর স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য মালামাল যা যা আছে এ গুলি রেখে তোর বাপের বাড়ি চলে যা বলে গত ০৫/০১/২০২১ ইং তারিখে আবারও এক লক্ষ টাকা দাবি করলে সেটি দিতে না পারায় স্ত্রীর উপর নির্যাতন আরও বাড়িয়ে দেয়।
বিষয়টি কে কেন্দ্র করে আলবাডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ করলে এসআই মন্জুর হোসেন উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করে দেয়।
ইহা সত্বে ও পাষন্ড স্বামী গত০৭/০৩/২০২১ ইং তারিখ দুপুরে রুবিয়ার স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মূখে মারপিট করে মারাত্মক আহত করে ও গলায় গামছা দিয়ে শ্বাষরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে বলে রুবিয়া বেগম অভিযোগ করেন।
বিষয়টি রুবিয়ার পিতামাতা জানতে পেরে মেয়ে কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ওসি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যহস্থা গ্রহণ করা হবে।