মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল রাজশাহী
রাজশাহীর নর্দান পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কাটাখালী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ৩৩ কেভি সুইচ ইয়ার্ডে তিনঘণ্টা ধরে পাখির বিষ্ঠা সরাতে কাজ করেছে দমকল বাহিনী।
সোমবার (৮ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দমকল বাহিনীরকর্মীরা বিষ্ঠা সরানোর অভিযান চালান।যদিও এর আগে নেসকো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নগরবাসীকে বার্তা দিয়েছিল। যার ফলে প্রায় চার ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিলেন রাজশাহীবাসী।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেসকোর এক প্রকৌশলী বলেন, ‘পাখি তাড়ানোর জন্য এয়ারগান, মরিচ পটকা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি।
আবার পাখিরা ফিরে আসে। কোনো ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হলে শব্দ হলে পাখিরা একটু ওড়াউড়ি করে। এই শব্দাটাও তাদের পরিচিত হয়ে গেছে।তাই বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সোমবার (৮ মার্চ) রাজশাহী শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ চার ঘণ্টা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এ সময় দমকল বাহিনী ডেকে পানি দিয়ে পাখির বিষ্ঠা ধুয়ে নেওয়া হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘পাখিরা সকালে বরে হয়ে সন্ধ্যায় কাটাখালীর শালিকেরা গ্রিডে ফেরে। সারা রাত তারা সেখানে মলত্যাগ করে। একটু বৃষ্টি হলেই পাখির বিষ্ঠা গলে যায়। চুইয়ে সার্কিট ব্রেকার, লাইন আইসোলেটর ও বাস আইসোলেটরে গিয়ে পড়ে। তখন ব্রেকারগুলো নষ্ট হয়ে যায়, আইসোলেটর ক্র্যাক করে।
বিদ্যুৎ পরিমাপের যন্ত্র সিটি ট্রান্সফরমার ও পিটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যায়। তখন পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।’একটি সিটি ট্রান্সফরমারের অধীনে ৪০ থেকে ৫০ হাজার গ্রাহক থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি বিকল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই ট্রান্সফরমারের অধীনের সব গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দিনের পর দিন পাখির সংখ্যা বাড়ছে। তারা ৩৩ কেভি সুইচ ইয়ার্ড থেকে এখন ১৩২ কেভি সুইচ ইয়ার্ডের দিকে যাওয়া শুরু করেছে। এই ইয়ার্ডে পাখিরা একইভাবে পায়খানা করা শুরু করলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গ্রাহকেরাও সমস্যায় পড়বেন।’
এ বিষয়ে নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এই পাখির বিষ্ঠার কারণে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই তারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফায়ার সার্ভিসকে দিয়ে বিষ্ঠা ধুয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাখি নিয়ে তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। এ জন্য সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজশাহী শহরে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়েছে।’