ফরিদপুর অফিস
ফরিদপুরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ তুহিন লস্করের ব্যাংক হিসাব এবং স্ত্রীর জামিলা পারভীন কুমকুমের নামে অর্জিত সমস্ত স্থাবর সম্পদ ক্রোক করেছে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুর। ৪ সেপ্টেম্বর এ আদেশ দেন ফরিদপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আকবর আলী খান।
গত আগস্টের ৭ তারিখে তুহিন লস্কর ও স্ত্রী কুমকুমের প্রায় ৪ কোটি টাকার জ্ঞ্যাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ক্রোক করার আবেদন করেন দুদুকের ইপসহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান আকন। তিনি জানান, তুহিন লষ্করের স্ত্রীর আয়ের কোন উৎস না থাকলেও ভূয়া ব্যাবসা দেখিয়ে এ সম্পদ অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, খুলনার হাউয়িং এস্টেটে একটি ৫ তলা বাড়ী, ফরিদপুরে বিলাসস্থল ২টি ফ্লাট এবং গোপালগঞ্জ শহরে বেশ কিছু জমি তার নামে অজর্ন করেন।
স্থাবর সম্পদ ক্রোকের বিবরণে দেখা যায়, খুলনার খালিশপুরে গোয়ালপাড়া মৌজায় ১৯৮৩৫ কাঠা জমি যার মূল্য ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ১৪ নং গোয়ালপাড়া মৌজায় প্রতি তলা ১.৮০৫ কাঠা জমি ও ৫ তলা ২ ইউনিটের বাড়ী যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা, ফরিদপুরের ১১৯ নং হাবেলী গোপালপুর মৌজায় ০০ ৩৫ শতাংশ জমি যার মূল্য দেড় লক্ষ টাকা, ১১৯ নং: হ্যাবেরী সোপানলপুর মৌজায় ১২০০ ব. ফুট ফ্লাট যার মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা, ফরিদপুরের ১১৬ নং কমলাপুর মৌজায় ১২০০ ব.ফুট ফ্লাট যার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা, গোপালগঞ্জ সদরের খাটারা মৌজায় ৫.২০ শতাংশ জমির মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা, গোপালগজ্ঞ সদর খাটারা মৌজায় ৭.২০ শতাংশ জমির যার মূল্য ৯ লক্ষ টাকা, গোপালগঞ্জ সদরের ঘোড়ারা মৌজায় ৫.২০ শতাংশ জমির মূল্য ৬ লক্ষ টাকা মোট প্রায় পৌনে ৩ কোটির টাকার আয় বহির্ভূত সম্পদ ।
ব্যাংক হিসাব ক্রোক তালিকায় রয়েছে, ফরিদপুর ব্র্যাক ব্যাংকে তুহিন লস্করের ব্যাংক হিসাবে নগদ ২৬ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রী একই ব্যাংকে ২টি আলাদা এ্যাকাউন্টে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা যা ক্রোক করা হয়েছে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ তুহিন লস্কর বলেন, আমি এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এখন কোন চিঠি পাইনি।