সনতচক্রবর্ত্তী:ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে সজনে ডাটা । এখনো পুরোপুরি খাবারের যোগ্য না হলেও বাজারে এসেছে গ্রীষ্মের সুস্বাদু সবজি সজনে। তবে দাম বেশি বলেই মনে করছেন ক্রেতারা। ১ কেজি সজনেডাটা বিক্রি হচ্ছে প্রায়১০০- ১৫০ টাকা।
বোয়ালমারীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়,
নতুন সবজি হিসেবে মানুষ আগ্রহ সহকারে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দাম শুনে অনেকেই হতাশ হয়েছেন। তবে বিত্তশালীরা চড়া দামে কিনে নিচ্ছেন।
সজনে ডাটার ক্রেতা মো.শুভ সেক বলেন, সজনে ডাঁটা অনেক মজার একটি খাবার এবং এটি অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। গরমের সময় এই সবজিটি খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে এই সবজির যে পরিমাণ দাম রাখা হচ্ছে। সেই পুরো টাকা দিয়েই বাজার করা হয়ে যাবে। দাম কিছুটা কম হলে মানুষ কিনতে পারতো খেতে পারতো।
স্কুল শিক্ষক মুকুল বোস বলেন, ‘সজনেডাটাতে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। সজনের ফুল, ফল, পাতা, ছাল খুবই উপকারী মানব দেহের জন্য।’
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ইকবাল মিমার্সী বলেন, ‘আমরা সাজনাকে ওষুধি সবজি হিসেবে চিনি। ঠান্ডা লাগলে সাজনার ছালের ভর্তা বানিয়ে গরম ভাতের সাথে রোগীকে খেতে দিলে অনেক উপকার হয়,এছাড়া সাজনার ফুলের ভর্তা বানিয়েও খাওয়া যায়।একসময় গ্রামে বসন্ত রোগের প্রাদুুর্ভাব দেখা দিলে সাজনা ও দেশি আলুর ঝোল খাওয়ানো হতো।’
বোয়ালমারী উপজেলার ময়েনদিয়া বাজারে সজনেডাঁটা বিক্রি করতে আসা মন্টু মিয়া জানান, আগে বাড়িতে খাবারের জন্য সজনেডাটা লাগাতাম। গত বছর বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেছি। এবার গাছে প্রচুর ফুল আসছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো সজনে পাবো। এবার মোটামুটি দামে বিক্রি করছি কেজি ১০০-১৫০ টাকা দরে।প্রথমে এর দাম চড়া থাকলেও ২-১ সপ্তাহের মধ্যে এর দাম কমে যাবে।
বোয়ালমারী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ‘সজনেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে প্রশিক্ষণ দরকার। গাছ সম্পর্কেও ধারণা নিতে হবে কৃষকদের। এর চাষ বাণিজ্যিকভাবে করলে লাভবান হওয়া যাবে সহজেই।’