নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ০৯/০৬/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রোজ বুধবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে দেদার সুপার শপ, দোকান নং জি-১৪, ডিএনসিসি মার্কেট, গুলশান-২, ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে অনেক পণ্যে আমদানিকারক এর কোন স্টিকার পাওয়া যায়নি এবং কিছু স্টিকার পাওয়া যায় যাতে অসম্পূর্ণ ও অস্পষ্ট ঠিকানা দেখা যায়। এছাড়া কাঁচা খাদ্যের (মাংস) সাথে জড়িত সেলসম্যানদের কারো স্বাস্থ্য সনদ নেই। এছাড়া বাদাম, খেজুর, ডাল, মসলা ও চাল জাতীয় বিপুল পরিমাণ খাদ্য মোড়কীকরণে যথাবিধি মানা হয় নি।
এ সকল অপরাধে দেদার সুপারশপ কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
দেদার সুপার শপ কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। দেদার সুপার শপ এর কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, “খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।” এছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩ তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অভিযানকালে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাবা মোহাইমেনা শারমিন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক জনাব মোঃ আব্দুল খালেক মজুমদার, মনিটরিং অফিসার জনাব মোঃ আসলাম উদ্দিন, অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।