মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর
আগামী ১২ মে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা,বিশিষ্ট আইনজীবি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার শহরে এক বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেছে ।শোভাযাত্রাটি থেকে জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে ফরিদপুর শহর।
শামসুল হক ভোলা মাস্টার জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। তিনি বর্তমানে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তারও আগে তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন রয়েছে তার।
সোমবার (৯ মে) বিকেল চারটার দিকে শহরের টেপাখোলা এলাকায় অবস্থিত সরকারি ইয়াছিন কলেজ মাঠ থেকে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে মুজিব সড়ক ধরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জনতা ব্যাংকের মোড়, আলীপুর মোড়,হাজরা তলার মোড়, ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, নতুন বাস্ট্যান্ড হয়ে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পর্যন্ত যায়। পরে শোভাযাত্রাটি হাসিবুল হাসান লাবলু সড়ক হয়ে সুপার মার্কেটের সামনে দিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
ওই শোভাযাত্রায় শামসুল হক ভোলা মাস্টার একটি ছাদ খোলা মাইক্রোবাসে দাঁড়িয়ে আশে পাশের জনতাকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্চা জানাতে জানাতে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তার গাড়ির সামনে ও পিছনে ছিল মোটরসাইকেলের বহর।
শোভাযাত্রা শেষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে বক্তব্যে শামসুল হক ভোলা মাস্টার বলেন, বৃহত্তর ফরিদপুরের জেলাগুলিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচনে বিল বোর্ড, গেট, ব্যানার কিংবা কোন নেতানেত্রীর তদবির কাজ করে না। এ জেলাগুলি সম্পর্কে নেতারা যা জানে তার চেয়ে অনেক বেশি জানেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই জেলাগুলির নেতা নির্বাচন করেন।
শামসুল হক ভোলা মাস্টার বলেন, রাজনীতি করতে হলে সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে হয় এবং রাত ১২টা ১টা পর্যন্ত মানুষের কথা শুনতে হয়। যে সকাল ১০টায় ঘুম থেকে ওঠে এবং রাত ৮টার পর যার সাথে কথা বলার সুযোগ থাকে না তার পক্ষে মানুষের সেবা করা সম্ভব নয়। কে হালাল রুজি খায় না, কে টাউটারি বাটপারি করে, কে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মাস্তানকে প্রশ্রয় দেয় এবং কে ঘুম থেকে সকাল ১০টার আগে ওঠে না সে হিসাব জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর শহর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি,সাবেক পৌর কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মঞ্জুর আলী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান মোল্লা, যুব মহিলা লীগের জেলা আহ্বায়ক রুখসানা আহমেদ মেহেবী, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ মন্ডল।