ফরিদপুরের সালথায় পুর্বশত্রুতার জেরধরে দু-দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ ২৫জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় পুলিশ বাদী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুর্বশত্রুতার জেরধরে সোমবার সন্ধ্যায় ইউসুফদিয়া বাজারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানের সমর্থক রাজিবের সাথে প্রতিপক্ষ এনায়েত হোসেনের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই সুত্রধারে রাত ৮টার দিকে উভয় দলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
দুই ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ৫পুলিশ সহ ২৫ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, সদর হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, আমি বাড়ি যাওয়ার সময় ওয়াহিদুজ্জামানের সমর্থকরা আমার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে আমার সমর্থক আনিচ, সাব্বির, শরীফুল, রিপন সহ ১০ জন আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এবিষয়ে সাবেক উপজেলার চেয়পারম্যান মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমার সমর্থক রাজীবসহ কয়েকজন লোক ইউসুফদিয়া বাজারে গেলে এনায়েতের লোকজন তাদের উপর হামলা করে। এঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে আমার সমর্থক ৭/৮ জন আহত হয়েছে। তাদের ফরিদপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সালথা থানার তদন্ত অফিসার সুব্রত গোলদার বলেন, ইউসুফদিয়া গ্রামের সংঘর্ষে এস.আই মোস্তফাসহ ৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। এঘটনায় মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ও এনায়েত হোসেনসহ ৩০ জন এজাহারভূক্ত ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ শত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী মামলা দায়ের করা হয়েছে।