মাহবুব পিয়াল,১০ সেপ্টেম্বর,ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ।।
ফরিদপুরে জিংক ধান ব্রি ধান ৮৪ এর প্রদর্শনী শীর্ষক কৃষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার আলীয়াবাদ ইউনিয়নের বিলমামুদপুর মুন্সিডাঙ্গী গ্রামে এই কৃষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
হারভেস্ট প্লাস,বাংলাদেশ এর সার্বিক সহযোগিতায় আমরা কাজ করি-একেকে’র বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত কৃষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক ড. মো. হযরত আলী ।
আলোচনায় অংশ নেন ফরিদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাশার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান,-একেকে’র প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর এম এ কুদ্দুস মিয়া ।সফল কৃষক মোঃ আক্কাস আলী মুন্সির সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষাণী আকলিমা বেগম ও কৃষক লুৎফর রহমান মুন্সিও বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক ড. মো. হযরত আলী বলেন, বর্তমান মহামারী করোনা কালে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে জিংকের কোন বিকল্প নেই।আর জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৭৪ ও ৮৪ আমাদের শরীরের জিংকের ঘাটতি পুরন করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, জিংক সমৃদ্ধ ধান থেকে উৎপাদিত প্রতি কেজি চালে ২৪ থেকে.২৮ মিলিগ্রাম জিংক পওেয়া য়ায় যা শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ জিংকের চাহিদা পূরণ করতে পারে। মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় জিংক চাউল, বাংলাদেশের ৫ বছরের কম বয়সের শতকরা ৩৬ ভাগ শিশু এবং ৫৭ ভাগ মহিলারা জিংকের অভাবে ভুগছেন যা দৈনিক জিংক চালের ভাত খাওয়ার মাধ্যমে পূরন করা সম্ভব। ড. মো. হযরত আলী আরো বলেন, ১৫ থেকে ১৯ বছরের শতকরা ৪৪ ভাগ মেয়েরা ঝিংকের অভাবে খাটো হয়ে যাচ্ছে।তাই সুস্থ্য থাকতে ও রোগ প্রতিরোধ করতে আমাদের জিংক চালের ভাত খাওয়ার উপর জোড় দিতে হবে।
কর্মশালায় দুই শতাধিক কৃষক ওকৃষাণী আংশ নেন।