• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কুষ্টিয়া ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভূয়া ডাক্তার সেজে প্রতারণা, ১ মাসের কারাদণ্ড

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। পরে প্রতারণার অভিযোগে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (১০ মে) দুপুরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতালে কুষ্টিয়া জেলা সহ মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও রাজবাড়ী থেকে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। করোনা ভাইরাস এর ফলে এই হাসপাতালটি অনেকটাই রোগী শূন্য হয়ে পরে। অধিকাংশ রোগীরা এখন ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে। তাদের মধ্যে ভয় করোনা রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এই হাসপাতালে। আবার কারো কারো অভিযোগ অধিকাংশ সময় ডাক্তার পাওয়া যায় না। হাসপাতালের গেটের সামনে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালরা মাঝে মধ্যে সরকারি হাসপাতাল তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে নেয়। আবার মাঝে মাঝে দেখা যায় ওই দালালরা নিজেরাই হাসপাতালের চিকিৎসক বনে যান। আজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল সাগর হোসেন (২৫) ইমারজেন্সিতে ডাক্তার সেজে রোগী দেখছেন। এই বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে হাসপাতাল চত্বরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভূয়া ডাক্তার সাগর হোসেনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসাহাক আলী।
তিনি জানান, সাগর ইসলাম নামের এক প্রতারক দীর্ঘদিন ধরে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যেতেন। বর্তমানে প্রতারণা করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সেজে রোগী দেখে আসছিলেন এবং কৌশলে সেখান থেকেও রোগীদের অন্যত্র ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। রোববার দুপুরে ওই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে। এ সময় চিকিৎসকের কোনো সনদপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। পরে তাকে একমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ভূয়া ডাক্তার সাগর হোসেনকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারা মোতাবেক এই সাজা প্রদান করেন। সাগর হোসেন কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের জামিল ইসলামের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ঐ ভূয়া চিকিৎসক সুরক্ষা পোশাক পরিধান করে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রোগী দেখছিলেন।
এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আগতদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রেসক্রিপশনে লিখে তার পছন্দমত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রেরণ করেছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ঐ ভূয়া চিকিৎসককে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন র‍্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা গণ।
এদিকে এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পরিচালক ডাক্তার নুরুন্নাহার বেগমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে প্রশ্ন করে বলেন, এটি কিভাবে সম্ভব? উল্লেখ্য, এর আগেও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে বহিরাগত একজন ডাক্তার সেজে বহির্বিভাগে রোগী দেখার সংবাদটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হয়। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি হাসপাতালের পরিচালকের নজর এড়িয়ে এই হাসপাতালটি এভাবেই চলছে?

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।