করোনামুক্ত থাকতে মোহনপুরের ভড়-বড়াইল গ্রামের প্রতিটি প্রবেশপথ বন্ধ করা হয়েছে
রাজশাহীর মোহনপুর থানাধীন ভড়-বড়াইল গ্রামের প্রতিটি প্রবেশ পথ বন্ধ ঘোষণা করেছে ভড়-বড়াইল গ্রামবাসী। করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে পুরো পৃথিবী। বাংলাদেশ কোন বিচ্ছিন্ন দেশ নয়। সুতরাং বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। করোনাভাইরাস হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রায় পুরো দেশেই লকডাউন ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের লকডাউন ঘোষণার অংশ হিসেবে ভড়-বড়াইল গ্রামের মোঃ নুরুন্নবী শেখ রতনের নেতৃত্বের ভড়-বড়াইল গ্রামের প্রধান দুটি প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নুরুন্নবী শেখ রতন হলেন ২নং ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার। নুরুন্নবী শেখ রতনের নিকট রাস্তা বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস হতে আমার গ্রামবাসী এবং ওয়ার্ডের মানুষকে নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যে গ্রামের প্রধান দুটি প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। তবে একটি পথ আমরা খুলে রেখেছি এবং সেখানে একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত লোক রেখেছি যাতে করে জরুরি মুহূর্তে গ্রামের মানুষ বাহিরে যেতে পারে এবং আসতে পারেন। করোনাভাইরাস হতে রক্ষা পেতে যেহেতু বাংলাদেশ সরকার বারবার আমাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য বলছেন। তাই আমরা চিন্তা করেছি যদি বাইরের লোক আমাদের গ্রামে প্রবেশ করে। তার শরীরে যদি করোনাভাইরাস থাকে তাহলে আমাদের গ্রামবাসী আক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া আমাদের গ্রামের মধ্য দিয়ে কোন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা মহাসড়ক নেই। সুতরাং আমাদের ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল ইসলাম বাবলু ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা গ্রামের প্রধান দুটি পথ বন্ধ করে দিয়েছি এবং গ্রামের প্রতিটি রাস্তায় জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়েছি। এ কাজে আমাকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছেন ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, সেক্রেটারি ইমরান আলী, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী এবং আমাদের গ্রামের বিশেষ ব্যক্তিত্ব ও মেম্বার হেলাল উদ্দিন মৃধা। এছাড়াও গ্রামের প্রতিটি মানুষ আমাদেরকে এই কাজে সহযোগিতা করেছেন। আমরা সবাই করোনামুক্ত থাকতে চাই। আমরা কোনভাবেই আমাদের গ্রামের মানুষ এবং বাংলাদেশ সরকারকে করোনা বিপদে ফেলতে চায় না। আমরা সরকারের প্রতিটি আদেশ, উপদেশ, পরামর্শ বরাবরই আমরা মেনে চলার চেষ্টা করছি।