• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
করোনায় জেলার সর্বোচ্চ দেবীদ্বারে আক্রান্ত-৪১, মৃত-৬ জন

কুমিল্লা জেলার ১৭ টি উপজেলার মধ্যে করোনা ভয়াল থাবায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত-৪১, মৃত-৬ সংখ্যা নিয়ে জেলার সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে আছে দেবীদ্বার উপজেলা।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা যায় ০৯-০৫-২০২০ইং তারিখ শনিবার দুপুর পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে দেবীদ্বার প্রথম, জেলার ২য় আক্রান্ত মুরাদনগরে-১৯, ৩য় লাকসাম উপজেলায়-১৩ জনে, এই নিয়ে পুরো জেলায় নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে মোট আক্রান্ত-১৫০ জন, মোট মৃতঃ- ৭জন, মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন-২৯ জন।

নতুন আক্রান্তের মধ্যে- দেবীদ্বারে ৪ জনসহ মুরাদনগর-৭, মহানগর-২, লালমাই-২,চৌদ্দগ্রাম- ১ জন।

পুরো জেলা জুড়ে ভয়াবহ অবস্থানে দেবীদ্বার উপজেলায় প্রায় প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মাঝে মাঝে করোনার উপস্বর্গ নিয়ে মৃত্যুর মিছিলেও যুক্ত হচ্ছেন কেউ কেউ। গত শুক্রবার দন্ত চিকিৎসক, নারী, শিশু সহ একই পরিবারের ৫জন সহ ৬জন আক্রান্তের মধ্যদিয়ে এ উপজেলার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। ইতিমধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত উপজেলার ৮টি গ্রামে এ সংক্রামন ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল দেবীদ্বার উপজেলা প্রথম করোনায় আক্রান্ত নবীয়াবাদ গ্রামের জীবন কৃষ্ণ সাহা নামের এক ব্যবসায়ী নারায়নগঞ্জে গিয়ে মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর পুরো উপজেলায় মাইকিং করে সতর্কতা জারী করে উপজেলা প্রশাসন। ওই ঘটনার ১০দিন পর উপজেলার বাগুর গ্রামের শাহজালাল মেম্বার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই দুই ব্যাক্তির মৃত্যুর পর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের আত্বীয়-স্বজন ও তাদের সংষ্পর্শে আসা লোকজনের নুমনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। এতে নবীয়াবাদ ও বাগুর গ্রামে পজেটিভ রোগী পাওয়া যায় ১৩ জন। গত সাপ্তাহে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে দেবীদ্বার পৌর শহর, বাগুর গ্রামের শাহ জালাল মেম্বারের মৃত্যুর ১০দিন পর অর্থাৎ ৩০এপ্রিল প্রবীণ হোমিও চিকিৎসক সুকুমার চন্দ্র দে’র মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পজেটিভ রোগী পাওয়া যায় ৭জন। তাৎক্ষনিক স্থানীয় প্রশাসন দেবীদ্বার উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করে কঠিন করা হয় লক ডাউন। বন্ধ করে দেওয়া হয় নিউ মার্কেটের কাঁচা বাজার। তারপর থেকে বৃদ্ধি পেতে থাকে করোনা পজেটিভ রোগী। এরই মধ্যে করোনা পজেটিভে যুক্ত হন আরো দু’জন। এ দু’জন নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ায় ২২জনে। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার আরো ৯জনের করোনা পজেটিভ আসায় পুরো দেবীদ্বারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে নবয়িাবাদ গ্রামের আতিকুল ইসলাম(৬০) নামে এক ব্যক্তি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপস্বর্গ নিয়ে মারা যান। পরে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে পজেটিভ। আক্রান্তদের গত বৃহ্স্পতিবার একজন দেবীদ্বার পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের চাপানগর গ্রামের হাজারী বাড়ির সিরাজুল ইসলাম হাজারীর পুত্র মূদী মাল ব্যবসায়ি জামাল হাজারী (৩৮) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ভর্তির প্রস্তুতি নেয়, এ সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টায় পথি মধ্যে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত ২৭দিনে করোনায় আক্রারন্ত হয়ে
৬ জনের মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহাম্মদ কবির সকলকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবারে ৯জন পজেটিভ রোগীর মধ্যে রাতে ১জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবারে একই পরিবারের দন্ত চিকিৎসক, শিশু, নারী সহ আরো ৫জনের করোনা পজেটিভ আসে। তাদের সকলকে হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। গত ৬মে ওই পরিবারের কর্তার পজেটিভ আসলে পুরু বাড়ি লক ডাউন করে দিয়ে আসি। আজ তার ২ ছেলে, এক পুত্র বধূ, ২ নাতী নাতনী সহ ৫জনের পজেটিভ আস। এছাড়াও বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আসোলেশনে ভর্তি রোগি আছেন দু’জন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।