আজ ১১ জুলাই, ২০২০। ফরিদপুরের নারী শিক্ষার অগ্রগন্য এক পথিকৃৎ শাহাজাদী বেগম এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
দিনটি উপলক্ষে সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন আলোচনাসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
ফরিদপুরের স্বনামধন্য নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এ প্রধান শিক্ষক ২০১৯ সালের এই দিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৬৮ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে।
মহীয়সী এ শিক্ষাগুরুর প্রয়াণ দিবসে আমরা সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি।
তাঁর কর্মময় জীবনে সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার মাধ্যমে তিলে তিলে গড়ে তোলা এ বিশাল শিক্ষায়তনের সাফল্যগাঁথায় এইদিনে আমরা তাঁর সুমহান ত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি ১৯৫১ সালের ২০ জুলাই জেলা শহরের কোমরপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ হায়দার আলী ও মাতা সৈয়দা মেহেরুন নেছা।
তিনি ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন এবং পরের বছর ১৯৭৬ সালে সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। মাত্র ২৯ জন ছাত্রী নিয়ে শুরু হয় সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পদযাত্রা যা আজ ১৬০০ শিক্ষার্থীর এক মুখরিত প্রাঙ্গণ। তাঁর সুদীর্ঘ ৪০ বছরের প্রচেষ্টা ও স্থানীয় বিদ্যুৎসাহী সদস্যদের সহযোগিতায় তিনি বিদ্যালয়টিকে গড়ে তুলেছিলেন স্বমহিমায়।
অবশেষে ২০১৭ সালে তিনি গ্রহন অবসর গ্রহন করেন।
অবসর গ্রহনের দুই বছরের মাথায় তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ও দেশে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহন করে ২০১৯ সালের এই
দিনে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে বোয়ালমারীর শির গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী,এক কন্যা এক
পুত্র,নাতি নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি বেসরকারি সংস্থা পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির নির্বাহী পরিচালক আলহাজ অলিয়ার রহমান খান এর সহধর্মিনী।
ব্যক্তিজীবনে তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থাসহ অসংখ্য সংগঠনে তিনি দক্ষ সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন।
শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক স্বীকৃতিসহ নারী শিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করায় তিনি বিভিন্ন পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।