জনপ্রিয় খাবারের একটি হলো খিচুড়ি। বৃষ্টির দিনে গরম খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা, বেগুন ভাজা, ডিম ইত্যাদি খাওয়ার মজাই আলাদা।
খিচুড়ির পুষ্টিমান
♦ খিচুড়িতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের ব্যালান্স ঠিকভাবে থাকে। তাই খিচুড়িকে পরিপূর্ণ খাবার বলা হয়। খিচুড়ি তৈরি করা হয় ডাল ও চাল দিয়ে। ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ, ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ১০টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড। এক কাপ খিচুড়ি থেকে প্রায় ২৭২ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। খিচুড়ির সঙ্গে সামান্য ঘি ও কয়েক ধরনের সবজি মিশিয়ে দিলেই পরিপূর্ণ ব্যালান্সড খাবার হবে।
♦ অনেকের গ্লুটেন হজম হয় না। ফলে বার্লি, গম, রাইসহ অনেক খাবার খেতে পারেন না। তাঁরা নির্দ্বিধায় খিচুড়ি খেতে পারবেন। কারণ খিচুড়ি গ্লুটেন-ফ্রি।
♦ ডায়রিয়া, বমি, জন্ডিস, জ্বর ইত্যাদির সময় পাতলা খিচুড়ি খেলে শারীরিক দুর্বলতা কাটে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়।
♦ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিপাক ক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই এ সময় সহজে হজম করা যাবে—এমন খাবার খেতে হবে। আবার শিশুদের বিপাকতন্ত্র দুর্বল থাকে, তাই তারা সব ধরনের খাবার হজম করতে পারেন না। খিচুড়ি সহজপাচ্য বলে শিশু ও বৃদ্ধ সবাই খিচুড়ি খেয়ে উপকার পাবেন।
♦ যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান, তারা চালের বদলে ওটসের খিচুড়ি খেলে উপকার পাবেন।
খিচুড়ির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অনেকের ডাল দিয়ে তৈরি করা খিচুড়ি খেলে পেটে গ্যাস সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর প্রধান কারণ ডালে উপস্থিত র্যাফিনোজ নামক শর্করা। তাই অনেকের দেহে সহজে হজম হয় না।
প্রতিকার:ডাল আগে ৩ মিনিট সিদ্ধ করে তারপর ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে র্যাফিনোজ নামক শর্করাটি ভেঙে পানির সঙ্গে বেরিয়ে যায়। মুগ, মসুর ও ছিলকা ছাড়া ছোলার ডালে এই শর্করার পরিমাণ কম থাকে বলে এ ডালগুলো অন্য ডালের চেয়ে তুলনামূলকভাবে সহজপাচ্য। আবার খিচুড়ি খাওয়ার পর দই ও লাচ্ছিজাতীয় খাবার খেলে সহজে হজম হয়ে যাবে।