চাকরি জন্য নানা চেষ্টার পর অনেকে ইন্টারভিউতে ডাক পান। এখানে ভালো করলেই চাকরি অনেকটা নিশ্চিত বলা যায়। তবে ইন্টারভিউতে কৌশলী কিছু প্রশ্ন করা হয় যেগুলোর উত্তর সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের মনোপুত হতে হবে।
কীভাবে সুন্দরভাবে এসব প্রশ্ন সামাল দেবেন, এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. সর্বশেষ চাকরিতে মনোমালিন্য
সর্বশেষ কর্মক্ষেত্রে যার অধীনে কাজ করেন তার সঙ্গে মনোমালিন্য নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সতর্ক থাকুন। মনে রাখতে হবে, পূর্ববর্তী চাকরি সম্পর্কে কটূক্তি করার সময় নয় এটা। মূলত বসের সঙ্গে আপনার মতের অমিল হলে পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবেন সেটাই জানতে চায় সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা। ফলে এমন প্রশ্ন দিতে সতর্ক এবং এটা কীভাবে আপনার কাজে প্রভাব ফেলে।
২. ব্যর্থ প্রজেক্ট নিয়ে অভিজ্ঞতা
পূর্বে কোনো ব্যর্থ প্রজেক্ট নিয়ে অভিজ্ঞতার জানতে চাইবে ইন্টারভিউতে। মাথায় রাখতে হবে, ব্যর্থতার জন্য টিম বা বসকে কোনোভাবে দোষারোপ করা যাবে না। এই প্রশ্নের উত্তরে নিজেও কিছুটা দায় নিন। যখন কোনো কাজে আশানুরূপ সফল হয় না, তখন টিমের প্রতি কী ধরনের আচরণ করতে পারেন সেটাই দেখতে চান সাক্ষাৎকারগ্রহীতা।
৩. নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন
এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেই মাথায় রাখবেন, সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা আপনার ব্যক্তিগত জীবনযাপন, স্বপ্ন বা ভ্রমণ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে আগ্রহী নন।
আপনার পেশাগত তথ্য গুরুত্বসহকারে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরতে হবে তাদের কাছে। এরপর ব্যক্তিগত বিষয় শেষে সংক্ষেপে বলে শেষ করুন। তবে নিজের সাফল্য ও অর্জন বিষয়ে বলতে বেশি সময় নেয়া যাবে না, মূল বিষয়গুলোই বলবেন শুধু। নিজেকে স্মার্টভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের বোঝাতে হবে যে আপনিই সেরা প্রার্থী।
৪. আপনার প্রত্যাশিত বেতন কত
এটা এক ধরনের কৌশলী প্রশ্ন। অবশ্যই আপনি ভালো বেতন প্রত্যাশা করবেন। তবে এমন কোনো কিছু বলবেন না যেটা অযৌক্তিক। এ ক্ষেত্রে শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ তাৎক্ষণিক বলার চেষ্টা করবেন না। এ ক্ষেত্রে টাকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আপনি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য যোগ্য সেটা তাদের বোঝাতে হবে। সাক্ষাৎকার শেষে বেতন নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করুন।
৫. কেন প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে চান
এ প্রশ্নের মাধ্যমে চাকরিতে কেমন মনোযোগী সেটাই জানতে চান সাক্ষাৎকারগ্রহীতা। গুগলে সার্চ দিয়ে কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করুন। প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক রিপোর্ট কী নির্দেশ করে, প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, সেরা প্রজেক্ট কোনটি জেনে রাখুন। আপনার উত্তর অবশ্যই আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গির হতে হবে এবং কীভাবে আপনি এর সঙ্গে যুক্ত হবেন এগুলো তুলে ধরুন।