নিরঞ্জন মিত্র (নিরু),ফরিদপুর :-
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সদরদী গ্রামে খোলামেলা ভাবে মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের মহিলা সহ তিনজন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সদরদী গ্রামের পরান মোল্লার ছেলে বাচ্চু মোল্লা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতায়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে।
এজাহারে ১ নং আসামী মো: মনিরুজ্জামান মোল্লা (ডিটু) (৪১), ২ নং আসামী মো: রাব্বি মোল্লা (২০) ও ৩ নং, মো: রাজতি মোল্লা (১৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার বাদী বাচ্চু মোল্লার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের মোঃ রাব্বি শেখ (২২) নামে নিয়মিত বিভিন্ন খোলামেলা জায়গায় ছোটদের নিয়ে মাদক সেবন করে আসছিলো। বিভিন্ন সময়ে মাদক সেবনের প্রতিবাদ করে রবিউল মোল্লা (১৮)। এই প্রতিবাদের জের ধরে গত ৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার আনুমানিক বিকাল ৩ টায় সদরদী বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে ডোবাই বাংলাদেশ একাডেমী (বুনিয়াদি) বিদ্যালয়ের সামনে রবিউল মোল্লার উপরে এলোপাথাড়ি ভাবে হামলা চালায় মাদক সেবনকারী রাব্বি শেখ সহ তার সহযোগীরা।
এসময় রাব্বি মোল্লার সাথে থাকা ডিটু মোল্লা দেশীয় অস্ত্র রাম দা দিয়ে রবিউল এর মাথা লক্ষ্য করে কোপ ছুরে মারাত্বক রক্তাত্ব জখম করে। একই সাথে রাব্বির হাতে থাকা রাম দা দিয়ে আঘাত করলে রবিউল তখন মাটিতে লুটিয়ে পরে। এ সময় আমার পিতা পরান মোল্লা (৭৫) ও ছোট ভাইয়ের বউ নেগার সুলতানা (৩০) বাধা দিতে আসলে উল্লেখিত মাদকসেবীরা তাদের উপর হামলা করে। এ সময় মামলার ৩ নং আসামী রাজতির হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার বৃদ্ধ পিতা পরাণ মোল্লাকে পিটিয়ে বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে। এবং মামলার ১ নং আসামী ডিটু মোল্লা রাম দা দিয়ে কুপিয়ে নেগার সুলতানা মিনু (৩০) কে মারাত্বক রক্তাত্ব জখম করে। এ সময় ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার গফফার হোসেন, বাজার কমিটির সভাপতি রাজ্জাক মোল্লাসহ স্থানীয়রা বাধা দিয়ে আহত রবিউল মোল্লাসহ আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
বর্তমানে আহতরা ফমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনো তারা আশংঙ্কামুক্ত হয়নি। এ ব্যাপারে কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো: গোলাম মোস্তফা হাসপাতাল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে মাদক সেবীদের উৎপাত বেড়ে চলেছে। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনকে অবহিত করেছি। মাদক বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়। পত্রিকার পাতা খুললেই এ ধরনের সংঘর্ষের কথা প্রায় লেখা থাকে। তবে আমার ইউনিয়নে যেই এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকবে, আমি তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি। তাই দ্রুত উল্লেখিত মাদক সেবীদের গ্রেপ্তার পুর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদি বাচ্চু মোল্লাসহ এলাকাবাসী। অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায়, ডিটু মোল্লা দীর্ঘ দিন ধরে মাদক ব্যবসা করে এলাকার যুবসমাজ কে ধংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তার এই মাদক ব্যবসায়ের কর্মকান্ড এলাবাসী জানলেও এই প্রভাশালী ব্যাক্তি ডিটু মোল্লার ভয়ে কেই মুখ খুলতে পারছে না। এ ব্যাপরে ডিটু মোল্লার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।