• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরে বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা এমপিও ভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুরে বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা এমপিও ভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন ফরিদপুর জেলা শাখা। এর আগে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের অধীনে বেসরকারি কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয় ১৯৯৩ সাল থেকে, অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকগণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয় ও সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও এই উচ্চ শ্রেণির শিক্ষকগণ অদ্যাবধি সরকারি বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ২৮ বছর ধরে বেসরকারি কলেজের অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষকরা শুধুমাত্র জনবল কাঠামোতে না থাকার কারণে এমপিওভুক্তির বাইরে রয়েছে। গত বছরের শেষদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জনবল কাঠামো সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। উক্ত সংশোধনীর প্রথম সভায় অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে সরকারের পলিসির বিষয় উল্লেখ করে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের নীতিমালার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন সংশোধনী কমিটি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের অধীনে বেসরকারি কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয় ১৯৯৩ সাল থেকে, কিন্তু এই শিক্ষকদের জন্য আজ পর্যন্ত কোন নীতিমালা তৈরি করা হয়নি। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে পাঠদানের অনুমতি, সিলেবাস প্রণয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, ফলাফল প্রকাশসহ সকল কার্যক্রম তদারকি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বেতনের বেলায় সরকারি সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়। বহু দেন-দরবারের পরে এসব শিক্ষকদের বেতন ভাতা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচলিত স্কেলে শতভাগ প্রদানের আদেশ জারি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফান্ড না থাকার কারণ দেখিয়ে উক্ত আদেশ না মেনে কলেজভেদে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতন প্রদান করে। শিক্ষকদের উক্ত বেতনের বর্তমান বাজারে পরিবারের ভরণপোষণ ও দিনাতিপাত করা একেবারেই অসম্ভব। শিক্ষকদের যে ন্যূনতম বেতন দেওয়া হতো সেটাও বর্তমানে করোনা মহামারিতে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এসকল শিক্ষকদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিগত দিনে তিনটি নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রদান করা হয়। যা আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দুটি সুপারিশ ও শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক দু’জন মহাপরিচালকের দুটি সুপারিশ থাকার পরেও অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

সংগঠনের ফরিদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রভাষক মো. আব্দুল রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে আমরা উচ্চ শ্রেণিতে পাঠদানরত, আমরা সরাকার থেকে প্রাপ্ত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে চলেছি, আমাদেরকে কেন সরকারি সুযোগ-সুবিধার (এমপিও) বাইরে রাখা হয়েছে তা বোধগম্য নয়। তাই মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ ও পেশাগত দাবি আদায়ের জন্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে সারা দেশের ন্যায় আমরা ফরিদপুর জেলার সকল কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা অহিংস ও শান্তিপূর্ণভাবে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা প্রবলভাবে বিশ্বাস করি যে, হাজার বছরের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে এমপিও প্রদান করে সম্মানের সাথে বাঁচার সুযোগ করে দেবেন।
সংগঠনের ফরিদপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক সুব্রত দাস বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিত ফরিদপুরের ১৮০ জনসহ সারাদেশে ৩১৫টি কলেজের ৫৫০০ জন শিক্ষকের বেতন ভাতার যৌক্তিক দাবিতে আমরা ফরিদপুরের সকল কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা আজকের কর্মসূচি পালন করেছি’।
সংগঠনের ফরিদপুর জেলা শাখার অন্যতম সদস্য মুক্তি খানম বলেন, ‘৫৫০০ জন শিক্ষকের জন্য বছরে ১৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেই এসব শিক্ষকরা সমাজে সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারতো।’
সংগঠন সুত্রে জানা যায়, এসমস্ত শিক্ষকদের এমপিও ভুক্ত করা না হলে তারা সামনে আমরণ অনশনের মতো কর্মসূচি পালন করবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মার্চ ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ফেব্রুয়ারি    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।