মাত্র তিন মাসেই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শর্টপিচ ক্রিকেট। এর প্রধান কারণ অল্প জায়গাতেই খেলা যায় এ ক্রিকেট ম্যাচ। তাছাড়া অন্যান্য ক্রিকেটে ছয় রান থাকলেও এখানে তা নেই বললেই চলে। হোয়াইট নো বলে এক রান করে আছে। একই সাথে আছে ডড বল।
আর ফরিদপুর জেলায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্রিকেট বলতে সটপিস কে বোঝানো হয়। মাত্র তিন মাস আগে শর্ট পিচ ক্রিকেট এর যাত্রা শুরু করে ফরিদপুর। শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সে টুর্নামেন্ট এতে অংশ নেয় ২০ টি দল। এরপর বিজলী সংঘ নামে এক কমিটি আয়োজন করে শর্ট পিচ ক্রিকেট । এতে অংশ নেয় ১৬ টি দল। এরপর আলিপুরে হাসিবুল হাসান লাবলু ক্রিকেট সটপিস টুনামেন্ট প্রচন্ড আলোচনা সৃষ্টি করে। এতে অংশ নেয় ২০ টি দল।
আর গত শুক্রবার থেকে ফরিদপুর শহরের চুনাঘাটা স্কুল মাঠে আরও একটা শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। তবে এতে অন্য টুর্নামেন্টের মতো ৮ ওভারে ম্যাচ হবার কথা থাকলেও এখানে তা হচ্ছে না, ম্যাচ হয়েছে ৬ ওভারে। এছাড়া এখানে একটা বিশেষ বোর্ড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে বল লাগলে ১০ রান পাবে ওই দল। এখন পর্যন্ত মাত্র একজন খেলোয়ার এই কাজটি করতে পেরেছেন তার নাম মনা। তিনি এই টুর্নামেন্টে জিরো সেভেন দলের পক্ষে খেলছেন।
এ ব্যাপারে টুর্ণামেন্টের কর্মকর্তা জানান শর্টপিচ ক্রিকেট ফরিদপুরে বর্তমান আলোচিত বিষয়। তারা অনেক আগ্রহী টিমকে ইচ্ছে থাকার পরও নিতে পারেননি। বর্তমানে শর্ট পিচ ক্রিকেট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ছোটো মাঠে বাউন্ডারি করে অনেকগুলো ম্যাচ খেলা যায়। প্রতিটা ম্যাচ শুরু হয় বিকেল চারটা থেকে আর শেষ হয় রাত ১১’টার মধ্যে।
ফরিদপুরে যেভাবে সর্টপিস ক্রিকেটে প্রসার ঘটছে তাতে আগামী দিনে আরো ভালো কোন ক্রিকেট উপহার পেলে সবার জন্যই ভালো হবে।