চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার দুই দারোগা এএসআই মোঃ সিমন খান ও এসআই ইব্রাহিমকে শুক্রবার প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে বলে থানা সূত্র জানিয়েছেন। এর দু’দিন আগে দুই দারোগা মিলে উপজেলা পরিষদের সামনের এক ফাষ্টফুড দোকানদার আঃ রব মোল্যাকে পেটাতে পেটাতে দোকান থেকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করার দায়ে তাদের প্রত্যাহার করা হয় বলে জানা গেছে। ঘটনায় পর আহত দোকানদার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে দুই দারোগাকে প্রত্যাহার করা হয়।
আহত ব্যাবসায়ী আঃ রব মোল্যা জানান, চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের সামনে ‘সততা ফাষ্টফুড এন্ড পেষ্টিশপ’ নামক একটি দোকান আছে। এ দোকানের পাশেই থানা কম্পাউন্ড। কিছুদিন ধরে চরভদ্রাসন থানার এএসআই মোঃ সিমন খান ও এসআই ইব্রাহিম তার দোকান থেকে মালামাল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করছিল না। তাদের কাছে পাওনা টাকা চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতো। ঘটনার আগের দিন দারোগা সিমন খান তার দোকানে বেনসন সিগারেটের একটি বড় প্যাকেট এনে ছোট প্যাকেট বদল করে দিতে বলেন। উক্ত দোকানে উপস্থিত কর্মচারী সিগারেটের প্যাকেট বদল করে দেয় নাই। এতে দারোগা সিমন খানের মধ্যে আরও ক্ষোভ জন্ম নেয়। ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে এএসআই মোঃ সিমন খান ও এসআই ইব্রাহিম উক্ত দোকানে এসে মালামাল নিতে চাইলে দোকানদারের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দুই দারোগা দোকানে ঢুকে আঃ রব মোল্যাকে পেটাতে পেটাতে থানায় নিয়ে গাড়দে আটকায়। থানার গাড়দে কনস্টেবল সাব্বির ও দুই দারোগা মিলে লাঠী ও রুল দিয়ে দোকানদারকে এলোপাথারী পেটাতে পেটাতে বলেত থাকে ‘শালা পুলিশ কি জিনিস, আজ তোকে বুঝিয়ে দিচ্ছি’। প্রায় তিন ঘন্টা পর স্থানীয় রাজনৈতিক ও দোকানদারের স্বজনরা থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন রাখেন। আহত ব্যাবসায়ী আরও জানান, তার উপর নির্যাতন চলাকালিন থানার ওসি উপস্থিত ছিল না”। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিজ রেজাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “দোকানদারের সাথে ঝামেলা করার কারনে দুই দারোগাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে”।
মোঃ মেজবাহ উদ্দিন
চরভদ্রাসন, ফরিদপুর
তাং-১১/৮/২০২৩ খ্রি.