• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
করোনার প্রতিষেধক: সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় বেক্সিমকো

করোনার প্রতিষেধক: সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় বেক্সিমকো

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে এমন ৪/৫ ধরনের ওষুধ প্রস্তুত করে রেখেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা। সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই সেগুলো বিপণনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার (১১ এপ্রিল) বেক্সিমকো ফার্মার করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি এবং বিপণন বিষয়ে জানতে কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজার সঙ্গে।

তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন,বিশ্বজুড়ে মহাপ্রলয় সৃষ্টিকারী কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার বা বের হয়নি। এর আগে বিভিন্ন ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে যেসব ওষুধ বিশ্বজুড়ে ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো এখনও করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও সেগুলো কার্যকর হচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি নতুন এ ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারেও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

রাব্বুর রেজা বলেন, সব দেশের পরিবেশ এবং মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক রকম হয় না। ফলে একটি ওষুধ হয়তো এক দেশে কাজ করছে, আবার সেটিই অন্য দেশে কাজ করছে না। সে কারণে আমরা ৫/৬ ধরনের ওষুধ তৈরি করে রেখেছি। আমাদের দেশে যেটি কাজে আসবে সেটিই দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে পারি, তার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর গাইডলাইন অনুযায়ী সরকার যে সব নির্দেশনা দিচ্ছে আমারা সেগুলো যথাযথভাবে মেনে চলছি। সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

বেক্সিমকো ফার্মার উদ্যোমী এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসার জন্য সরকার কুর্মিটোলা, মুগদা, কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালসহ যেসব জায়গা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সেসব হাসপাতালে বেক্সিমকোর ওষুধগুলো সরবরাহ করছি। হাসপাতালগুলোতে ট্রায়াল বেসিসে রোগিদের দেওয়া হচ্ছে। আশার বিষয় হচ্ছে, ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যাচ্ছে। চিকিৎসক ও সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে এগুলো বাজারজাত করা হবে। আপাদত সাধারণ মানুষ ওষুধগুলো পাচ্ছেন না। এসব ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে একটি গাইডলাইন হচ্ছে। এরপর দেশি তৈরি ওষুধ ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করার পর থেকে করোনাভাইরাস নিরাময়ে কিছু ওষুধের নাম ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে। যদিও এখনো প্রমাণ হয়নি সেগুলোর পূর্ণ কার্যকারিতা। তবে কোথাও কোথাও করোনার বিরুদ্ধে ওষুধগুলো ভালো কাজ করছে। আবার কোথাও এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভালো নয়।

এমন অবস্থায় বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বিকন ফার্মা দাবি করছে, সরকারের ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তারা একটি ছাড়া আলোচিত সব ওষুধের উপাদান এনে মজুদ করেছে এবং ওষুধও তৈরি করে ফেলেছে। যে ওষুধের কার্যকারিতা প্রমাণ হবে এবং সরকার চাইলে সেটাই তারা উৎপাদন করে বাজারজাত করবে।

এদিকে, বেক্সিমকো ও বিকনের বাইরে আরও দু-একটি কোম্পানি করোনা নিরাময়ের ওষুধগুলো তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমোদন নিয়েছে বলেও জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, স্পেন, জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনা চিকিৎসায় ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন ব্যবহার করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশীয় কোম্পানিগুলোকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন উৎপাদন এবং সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছে। বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস এ ওষুধ তৈরি করবে বলে জানা গেছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।