• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
সালথার আটঘরে গ্রাম্য দলপক্ষ নিয়ে সংঘর্ষ: বাড়িঘর ভাঙচুর

মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় গ্রাম্য দলপক্ষ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে স্থানীয় একটি গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই জন। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বসত বাড়িঘর। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ৫টি গ্রামের হাজারো লোক অংশগ্রহণ করে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শর্টগানের গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক ব্যক্তি জানান- গ্রাম্য দলপক্ষ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ইফতার শেষে আটঘর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান সোহাগের অনুসারী খোয়াড় গ্রামের সামাদ মাতুব্বরের সমর্থক জালাল শেখ ও রবিউল শেখের সাথে গত ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া মো. বকুল মাতুব্বরের অনুসারী আমিনুল মাতুব্বরের সমর্থক খবির শেখের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একর্পয়ায় উভয় গ্রুপের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র হাতে জড়ো হয়ে একে অপরের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষে প্রতিবেশী সেনাটি, গবিন্দপুর, সিংহপ্রতাব, গোয়ালপাড়া গ্রামের হাজারো মানুষ দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে অংশগ্রহণ করে। এসব গ্রামের লোকজন খোয়াড় গ্রামের সাথে জোট বেধে গ্রাম্য দল করেন কলে জানা যায়। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাঙচুর। এ ঘটনায় বজলু মাতুব্বর, ফিরোজ মাতুব্বর, আহম্মদ মাতুব্বর ও জালাল শেখসহ উভয় গ্রুপের অনন্ত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেট ছুড়লে রাজিব রাজিব মোল্যা (২০) ইস্রাফিল শেখ (২৫) নামে দুই তরুন গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা গেছে। তাদের ঢাকা একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে একটি সুত্র জানায়। রাজিব প্রতিবেশী সিংহপ্রতাব গ্রামের চুন্ন মোল্যার ছেলে ও ইস্রাফিল একই গ্রামের কাসেম শেখের ছেলে।

আমিনুল মাতুব্বর বলেন- সামান্য ঘটনা নিয়ে সামাদ মাতুব্বর তার দলনেতা ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগকে বলে গোয়ালপাড়া, সেনাটী, গবিন্দপুর ও সিংহপ্রতাব থেকে শতশত লোক এনে আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। আমার দলের নিজাম শেখের ৩টি ও সত্তার মাতুব্বরের ২াট বসতঘর ভাঙচুর করে। পরে আমার লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সামাদ মাতুব্বর বলেন- গ্রাম্য দলপক্ষ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে আমিনুল মাতুব্বর বালিয়া গ্রাম থেকে অনেক লোকজন এনে আমার লোকজনের উপর হামলা করে। আমার দলের লোক মোহাম্মাদ ফকিরের ২টি, কুদ্দুস মাতুব্বরের ৩টি, মানিক মাতুব্বরের ৩টি, জালাল শেখে ২টি ও শুকুর মশালচীর ২টি বসতঘর ভাঙচুর করে তারা।

সালথা থানার এসআই মারুফ হোসেন বলেন- খবর পেয়ে পুলিশ সংঘর্ষের মাঝে অবস্থান নিয়ে প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে শর্টগানের ১৫ রাউন্ড গুলি ও ১টি সাউন্ড গ্রেনেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত। তবে ফের সংঘর্ষেও আশঙ্কায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

১২ এপ্রিল ২০২২ ইং

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

অক্টোবর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« সেপ্টেম্বর    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।