সুনামগঞ্জে পুনরায় বন্যা হয়েছে। গত ১০ই জুলাই শুক্রবার সকাল থেকে ভাটি অঞ্চলের নদীগুলো বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র, (বাপাউবো) ঢাকা’র তথ্যমতে ভারতের আসাম রাজ্যের মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদী ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বন্যার স্থায়িত্ব কাল৪/৫ দিন হতে পারে। এরমধ্যে মাত্র ক দিন পূর্বেই বন্যায় তলিয়ে গিয়েছিল তাহিরপুরের বেশির ভাগ জায়গা। বন্যার পানি নামতে শুরু করতে না করতেই পুনরায় বন্যার পানি মুহুর্তের মধ্যেই ব্যাপক ভাবে বেড়ে প্লাবিত হয়েছে। তাহিরপুরের বেশ কিছু গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে, শিবরামপুর,বেতাগড়া, উজ্জ্বলপুর,মাটিয়াইন, কদমতলী,খালা শ্রীপুর,তরং, জামালপুর, নবাবপুর,নয়াবন্দ,বালিয়াঘাটা,গোলকপুর, দুধের আইটা,কাইকান্দি,মন্দিয়াতা, কামালপুর, গোলাবাড়ি, জয়পুর,ছিলাইন তাহিরপুর, মদনপুর, রাজিনপুর,লামাগাও,চাপাতি,মাহদপুর,মালিককিলা,বড়দল, আনোয়ারপুর,চিকসা, রসুলপুর,বালিজুরি, মাহতাবপুর, এবং হাট বাজার বসেছে ভাসমান পানির উপরে মাচার সাহায্যে দোকানীরা বেচাকেনা করতে দেখা গেছে এবং বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে ।
কাউকান্দি বাজার,একতা বাজার, আনন্দবাজার,বালিয়াঘাট নতুন বাজার, শ্রীপুর বাজার,পাঁতার গাও চকবাজার সহ চুলা বন্ধী অবস্থায় রয়েছে অসংখ্য পরিবার। রবিবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত বন্যার পানি বাড়তি চলমান রয়েছে।