• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মা-মেয়েকে মারধরের অভিযোগ

বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় মা-মেয়েকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না গ্রামের এক স্কুল ছাত্রী, ছাত্রীর মা ও ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই গ্রামের মো. হোসেনসহ তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মো. জামাল হাসান মিয়া রোববার বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার ময়না এসি বোস ইনিস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস যতি (১৪) নিয়মিত শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পথে মধ্যে ময়না গ্রামের মিকাইলের ছেলে মো. হোসেন প্রেম নিবেদনসহ ও কুপ্রস্তাব দিয়ে ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো।

গত শনিবার বাড়ির সামনে গিয়েও উত্যক্ত করতে থাকলে মেয়ের মা নুরুন্নাহার বেগম (৪২) এর প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদ করায় মো. হোসেন (২৫), মো. মিকাইল (৫২), মো. আশরাফ মোল্যা (৩৫) ও মো. মিঠুন মোল্যাসহ (২৭) অজ্ঞাত আরো ৫-৬জন সংঘবদ্ধভাবে বাড়ির পাশে ছাত্রী যতি, যতির মা নুরুন্নাহার ও ভাই মো. জনিকে মারধর করে। তাদের চিৎকার শুনে গ্রামের আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকরীরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা মো. জামাল হোসেন ওই চারজনের নাম উল্লেখপূর্বক রোববার বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ছাত্রীর বাবা জামাল হোসেন বলেন, তার মেয়ে (যতি) খুবই মেধাবী। পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছে। নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছে। তাই তাকে তিনটা প্রাইভেট পড়তে যেতে হয়। কিন্তু ছেলেরা যেভাবে বিরক্ত করা শুরু করেছে হয়তো মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই। তার মেয়েটা যেন নির্বিঘেœ লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে উপজেলা প্রশাসনসহ সুশিল সমাজের নিকট তিনি দাবি জানান।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি কয়েকবার ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন আসামিদের ধরার জন্য। পুলিশি অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে আসামিরা মধুমতি ব্রিজ পার হয়ে পাশের মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় পালিয়ে যায়। যেহেতু ইভটিজিংয়ের বিষয় সেজন্য আসামি ধরতে পারলে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা বা নিয়মিত মামলা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতো। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করছেন বলেও তিনি আরো জানান।

সোমবার বিকেলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ময়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম বলেন, ওই ছেলে ও তার সাথের লোকজন বখাটে টাইপের। তিনি চেয়েছিলেন দু’পক্ষকে নিয়ে বসে একটা মিমাংসা করে দিবেন। পুলিশের সাথে কথা বলে স্থানীয়ভাবে শালিস ব্যবস্থার মাধ্যমে উৎশৃঙ্খল ওই ছেলেদের শাস্তি ও এ ঘটনার সঠিক মিমাংসা করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।