গত ২৪ ঘন্টায় ফরিদপুরে নতুন করে আরও ৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনই জেলার বোয়ালমারী উপজেলার। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে স্থাপিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব(পিসিআর) সুত্রে মঙ্গলবার ১২ মে বিকেলে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় এ পর্যন্ত ৪২ জন করোনা রোগী সনাক্ত হলো।
মঙ্গলবার যাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে সাতজনের বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের একটি গ্রামে। এছাড়া মধুখালীতে একজন ও নগরকান্দায় একজন রয়েছে।
বোয়ালমারীতে শনাক্ত হওয়া ব্যাক্তিদের মধ্যে মা (৬০), ছেলে (৪৪), নাতনি (২৬) রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বাবা (৫৫) ও ছেলে (২৫)। আরও রয়েছে ৬২ বছরের এক বৃদ্ধ এবং ২০ বছরের এক তরুণ।
ঢাকা থেকে আগত এক নারী আত্মীয়ের মাধ্যমে বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়নের ঐ গ্রামে করোনা ছড়ায়। এর আগে গত ১০ মে আগত নারীর পাঁচ স্বজন করোনায় আক্রান্ত হন।
মধুখালীতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৪ বছরের এক ব্যাক্তি। তিনি উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৯ মে অসুস্থ হয়ে ফরিদপুরে আসেন। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তিনি।
আক্রান্ত অপরজন হলেন নগরকান্দার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ৩২ বছর বয়সী এক ব্যাক্তি। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি গত ৪ মে ফরিদপুর আসেন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে মঙ্গলবার নতুন করে নয়জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৪২ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলো। এই ৪২ জনের মধ্যে বোয়ালমারীতে ১৭, ফরিদপুর সদরে ৮, নগরকান্দায় ৬, ভাঙ্গায় ৩, চরভদ্রাসন, আলফাডাঙ্গা, সদরপুর ও মধুখালীতে ২ জন করে।
ফরিদপুর করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এ ল্যাবে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মোট ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুরের ৬৮ এবং গোপালগঞ্জের ৭৭ জন । মঙ্গলবার ফরিদপুরের নয়জন ও গোপালগঞ্জে তিন জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, এর মধ্যে সাতজন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে নগরকান্দার ৪ এবং বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন ও ভাঙ্গায় ১ জন করে রয়েছেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়নের ঐ গ্রামটি আগে থেকেই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গতকাল নগরকান্দার ডাঙ্গী ও মধুখালীর জাহাপুর ইউনিয়নের গ্রামটিও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।