ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১২ ডিসেম্বর) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, সুষ্ঠু শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক বিকাশে শিশুদের প্রথম ৮ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর শিক্ষা ও বিকাশের ভিত্তি রচিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ ভার্চুয়ালি ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’ (বেন) আয়োজিত দু’দিনব্যাপী জাতীয় ইসিডি সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিশুবান্ধব সরকার শিশু খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য-সেবা, সুরক্ষা ও শিক্ষা নিশ্চিত করছে। গর্ভাবস্থা থেকেই মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে। শিশুর জন্মের প্রথম এক হাজার দিনকে গুরুত্ব দিয়ে ‘শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি’-২০১৩ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু রোধ এবং প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। এসবের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, পিস ট্রি, দু’বার সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও ভ্যাক্সিন হিরো অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ৭ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী মা’র জন্য ল্যাক্টেটিং মা ভাতা কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের ১৫টি মন্ত্রণালয় ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বাস্তবায়ন করছে। বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের বই প্রদান ও এক কোটি চল্লিশ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। শিশু বিকাশ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। তাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষায়িত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
সম্মেলনে ইসিডি নেটয়ার্কের সভাপতি ড. মঞ্জুর আহমেদ এর সভাপতিত্বে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরি ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি তমো হোজোমি বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈয়েদা সাজিয়া জামান।
দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে শিশুর পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সুরক্ষা বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ৬টি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সম্মেলনে প্রতিপাদ্য বিষয় ‘Early Childhood Care and Development in the Time of Covid-19 and Beyond’