করোনা লড়াইয়ে মিলছে আশার আলো। আগামী মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে শুরু হবে করোনা প্রতিষেধকের চূড়ান্ত বা ফাইনাল টেস্ট! এরপরই গবেষকরা নিশ্চিত হবেন, যে আদৌ মানবশরীরে এই প্রতিষেধক কাজ করছে কিনা। করোনা ভ্যাকসিন বানানোর প্রচেষ্টায় এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে মার্কিন যুক্ররাষ্ট্র। সে দেশের বায়োটেক সংস্থা মডার্না Moderna Inc.- এর তৈরি ভ্যাকসিনটি প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়ালে সফল হয়ে তৃতীয় অর্থাৎ চূড়ান্ত ধাপে পরীক্ষার ছাড়পত্র পেয়েছে মার্কিন ওষুধ প্রশাসনের তরফ থেকে।
মডার্না Moderna Inc.- এর তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল ইন্সটিউট অফ হেলথ-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যে প্রতিষেধক বানানোর কাজ চলছে তা মার্কিন যুক্ররাষ্ট্রের ৩০,০০০ মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হবে।
কিছু সংখ্যক মানুষকে ‘রিয়েল শট’ দেওয়া হবে, কিছু সংখ্যককে ‘ডামি শট’, এরপর বৈজ্ঞানিকরা তুলনা করে দেখবেন কারা কম সময়ের মধ্যে করোনার মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছেন।
ন্যাশনাল ইন্সটিউট অফ হেলথ ও মডার্না-র তৈরি প্রতিষেধকে ভাইরাস নেই, করোনাভাইরাসের ওপর আচ্ছাদিত থাকা ‘স্পাইক’ প্রোটিনের জেনেটিক কোড ব্যবহৃত হয়েছে ভ্যাক্সিনের শটে। শরীরের কোষ ওই কোড ব্যবহার করে কিছু নিরীহ স্পাইক প্রোটিন উৎপাদন করে।
এই প্রোটিনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম তৈরি থাকে পরবর্তীতে যদি ক্ষতিকারক স্পাইক প্রোটিন শরীরে থাকে, সেক্ষেত্রে যাতে ইমিউন সিস্টেম তার মোকাবিলা করতে পারে। সূত্র : নিউজ এইটটিন।