আলফাডাঙ্গাতে সাংবাদিকের ওপর হামলা: আ’লীগ সভাপতিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আলমগীর কবির,আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলমের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মে) দিনগত রাতে আহত সাংবাদিক সেকেন্দার আলম নিজেই বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং- ০৪)।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো- ২নং গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খান, গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা লাভলু সিকদার, আরব আলী খান (পিরু), নুর জালাল খান, নজরুল খান, কামরুল খান ও বাকাইল গ্রামের বাসিন্দা জীবন মিয়া।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই এজাহারভুক্ত আসামি লাভলু সিকদার, নজরুল খান, কামরুল খান ও জীবন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ মে) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে সেকেন্দার আলম উল্লেখ করেন, ইরি ব্লকের ধান মাড়াই করার জন্য তিনি একটি পরিত্যক্ত জায়গায় মালিকদের সাথে আলোচনা করে চাতাল তৈরী করেন। কিন্তু স্থানীয় বিরোধের কারণে অভিযুক্ত আরব আলী খান সহ অন্যন্য আসামীরা চাতালে ধান মাড়াই করতে বাঁধা দেয় এবং বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে গত ৬ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় একটি মোটরসাইকেল যোগে ইফতার শেষে পবনবেগ কবরস্থান নতুন মসজিদের নিকট তিন রাস্তার সামনে পাঁকা রাস্তায় পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে অভিযুক্তরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে পথচারীরা দেখতে পেয়ে তাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে জখমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ও বমি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তার মাথার পিছনদিক দিয়ে রক্তক্ষরণ জমাট ও বন্ধ না হওয়ায় এবং উপর্যুপরি বমি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি মাথার অপারেশন শেষে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ‘সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পরপরই এজাহারভুক্ত ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক সেকেন্দার আলম আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি সাপ্তাহিক ‘আমাদের আলফাডাঙ্গা’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
