“দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ফরিদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভার্চুয়ালি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১.০০ টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রোকসানা রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঝর্ণা হাসান, জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সোবহান।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বায়েজিদুর রহমান, তারেক হাসান, তানিয়া আক্তার, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ, রাসিনের নির্বাহী পরিচালক আছমা আক্তার মুক্তা, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাছিম আহম্মেদ, ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নূরুল আলম দুলাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নূরুন্নাহার বেগম।
প্রধান অতিথি বলেন, দুর্যোগ বেশ কয়েক রকমের রয়েছে। প্রাকৃতিক, সামাজিক, মানবসৃষ্ট ইত্যাদি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে(করোনা) বর্তমানে সারা বিশ্বে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। আমাদের দেশে পাঁচ হাজারের বেশি মারা গিয়েছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতেও ১ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, পুকুর -খাল -বিল ভরাট মানবসৃষ্ট দুর্যোগের অন্যতম। যে কারনে অগ্নিকাণ্ড, ধ্বস, অতিখরা, অতিবৃষ্টি ইত্যাদি দুর্যোগে ক্ষতির পরিমান অনেকগুণ বৃদ্ধি পায় আর সামাজিক অবক্ষয়ের কারনে আজ ধর্ষণের মত যঘন্যতম অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
মানবসৃষ্ট দুর্যোগ ও সামাজিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা। উন্নত দেশগুলোতে শিশু ভুমিষ্ট হওয়ার পর থেকে তাদের শিক্ষা দেওয়া শুরু হয় যা তারা বড় হওয়ার পরও ঐ শিক্ষা তাদের বাস্তব জীবনে প্রতিফলিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের যে বাংলাদেশ গড়তে চান তা হলো গ্রাম থাকবে, গ্রামে ফসল হবে কিন্তু ঐ গ্রামে শহুরে সকল সুযোগ সুবিধা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ দরকার। আমরা যদি সোনার মানুষ হতে পারি তাহলেই ২০৪১ সালের মধ্যে সোনার বাংলা গড়া সম্ভব। আর তখনই এ দিবস পালনের স্বার্থকতা পাওয়া যাবে। অনুষ্ঠান শেষে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।