• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং
নিক্কনের মেডিকেলের পড়ালেখার স্বপ্ন পুরন করলেন হুইপ ইকবালুর রহিম

মোঃ মঈন উদ্দীন চিশতী, দিনাজপুরঃ

দিনাজপুরে ভ্যানচালকের সন্তান নিক্কন রায়ের মেডিকেলের পড়ালেখার স্বপ্ন পুরন করলেন দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

অভাব-অনটনের করাল গ্রাসে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে নিক্কন রায়ের।অদম্য মেধা নিয়ে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে নিক্কন রায়। পেয়েছে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে চান্স। কিন্তু পিতা ভ্যান চালক, মাতা দিনমুজুর। পরিবারে অভাব অনটন নিত্যদিনের সাথি। দুই ভাই সহ পরিবারের সংখ্যা ৪ জন।

এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যম ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির নজরে আসে। পরে নিক্কন রায়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার পর হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি নিক্কন রায়ের মেডিকেলের পড়ালেখার যাবতীয় খরচ নিজ দায়িত্বে নেন।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, বিভিন্ন গনমাধ্যমে জানার পর মেধাবী শিক্ষার্থী নিক্কনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছি। আমি প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থীর পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহন করি। জাতীয় সংসদ থেকে যে সম্মানি পাই, তার সম্পুর্ণ টাকা আমি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করি। এই টাকায় ইতিমধ্যে অনেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে।

হুইপ ইকবালুর রহিম নিক্কনের দায়িত্ব নেয়ায় খুশি তার পরিবার।

এ বিষয়ে নিক্কনের পিতা খনিজ চন্দ্র রায় বলেন, ছোট বেলা থেকে নিক্কন মেধাবী শিক্ষার্থী। আমরা গরিব মানুষ। ভ্যান চালিয়ে দিন আনি দিন খাই। আমার পক্ষে তার মেডিকেলের পড়াশোনা করার মত সম্ভভ ছিল না। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি আমার ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহন করেছে। আমরা তার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।

শিক্ষার্থী নিক্কন রায় বলেন, মাননীয় হুইপ স্যার আমার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে। আমি এবং আমার পরিবার অনেক খুশি। যা বোজাইতে পারবো না। আমি চিকিৎসক হওয়ার পর মানুষের সেবা করাই থাকবে আমার মুল লক্ষ। নিক্কন রায়ের বাড়ী দিনাজপুর সদর উপজেলার ২নং সুন্দরবন ইউনিয়নের সুন্দরবন গ্রামে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।